বাথরুমে সিসিটিভিস্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা: এক জনপ্রিয় উপন্যাসে নায়িকার স্নানঘরে টিকটিকি হয়ে থাকার বাসনা প্রকাশ করেছিলেন গল্পের নায়ক। বাস্তবে শহরের বুকে ঘটল এমনই টিকিটিকি-কাণ্ড। সিসিটিভি লাগিয়ে বাথরুমে গোপন নজরদারি থুড়ি উঁকিঝুঁকি দেয়ার অভিযোগ উঠল এক মাঝবয়সী বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে।

তরুণী পেয়িং গেস্ট-এর স্নানের দৃশ্য লেন্সবন্দি করে রাখার কাজ বেশ চলছিল রমরমিয়ে। হঠাত্ই একদিন ওই তরুণীর চোখ চলে যায় বাথরুমের সিলিংয়ের দেয়ালের এককোণে। দেখেন, ক্যামেরার লেন্সের মতো কালো জিনিস।  রামমোহন ঘোষ রোডের বাসিন্দা বেসরকারি সংস্থার কর্মী ওই তরুণীর ক্যামেরা বলে সন্দেহ হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে তিনি ভবানীপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন।

পুলিশ এসে অভিযোগকারিণীর বাথরুম থেকে উদ্ধার করে ওই ক্যামেরা। দেখা যায়, দিব্যি নিজের ঘরে বসে ভাড়াটিয়ার স্নানের দৃশ্য দেখার ব্যবস্থা করে রেখেছে বাড়িওয়ালা হরিন্দর সিং দেওল। ঘরে বসে ল্যাপটপের মাধ্যমে সেই সিসিটিভির ফুটেজ দিনের পর দিন রেকর্ডিং করত সে। যদিও অপরাধ অস্বীকার করেছে বাড়িওয়ালা।

সে পুলিশকে বলে, ওই ক্যামেরা কে লাগিয়েছে আমার জানা নেই। পুলিশ বাড়িওয়ালাকে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার  গ্রেফতার হওয়ার পর তার বক্তব্য, কীভাবে বাথরুমে ওই সিসিটিভি ক্যামেরা এল তা কিছুই জানা নেই তার। এমনকী ল্যাপটপের মধ্যেও এই অশ্লীল ফুটেজ নিয়ে কোনও জ্ঞান নেই তার।

কি অভিযোগকারিণীর বক্তব্য, বেশ কয়েকদিন ধরেই তার দিকে অশ্লীল ইঙ্গিতে তাকিয়ে থাকত হরিন্দর। সেই থেকে কিছুটা আন্দাজ করেছিলেন বিষয়টি।

কয়েকদিন আগে বাথরুমের ভিতরে ওই ক্যামেরা দেখেই আর দেরি করেননি তিনি। দ্বারস্থ হয়েছেন পুলিশের। তার অনুমান, তার অনুপস্হিতিতেই হয়েছে এ অপকর্ম। এদিন আলিপুর আদালত ধৃতকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।