ঝিনাইদহে আ'লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ২
পারভীন আক্তার, ঝিনাহদহ: ঝিনাইদহে আওয়ামীলীগের দু’গ্রপ ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালালে হতাহতের ঘটনা ঘটে। ত্রিমুখী সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে আরিফ হোসেন ও গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পরে শাহ আলম নামে আরও একজন মারা গেছে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা দাড়ালো দুই এ। এ ঘটনায় কমপক্ষে ২০জন আহত হয়।
শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঝিনাইদহের টিকারী বাজারে আওয়ামীলীগ নেতা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শিকদার ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক সমর্থকদের মধ্যে হাটের আধিপত্য নিয়ে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
নিহত আরিফ টিকারী গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে। এদিকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে শাহ আলম নামে আরও একজন মাগুরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাট ও গ্রামের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র বিকালে টিকারী বাজারে ফুরসন্দি ইউপি চেয়ারম্যান স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম শিকদার ও অপর আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মালেক গ্রুপের লোকজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এসময় শহিদুল ইসলাম শিকদারের ২ সমর্থককে পিটিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যা ৭টার দিকে টিকারী গ্রামের পুরাতনপাড়া ও বাজারে দুই গ্রুপ দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ব্যাপক গুলিবর্ষণ করে। দুই ঘণ্টাব্যাপী ত্রিমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই আরিফ হোসেন নামে একজন নিহত হয়। এছাড়া গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মাগুরা হাসপাতালে ভর্তি শাহ আলম নামে আরও একজন মারা যায়। আহতদের মধ্যে গুরুত্বর অবস্থায় ১০ জনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকজনকে মাগুরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী আজকের বাংলাদেশকে বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামীলীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার পর এলাকায় অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঝিনাইদহ সদর থানার সেকেন্ড অফিসার দাউদ হোসেন জানান, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ফুরসুন্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শহিদ শিকদার এবং আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট আবদুল মালেকের মধ্যে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গোলযোগ চলে আসছিল। এর জের ধরে শনিবার সন্ধ্যার পরে স্থানীয় টিকারী বাজারে উভয় গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ টিকারী গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় গ্রামটির বিভিন্ন বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়।