দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা : গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষুদ্রঋণ আদায়ে এখন আর সাপ্তাহিক কিস্তির প্রথা দরকার নেই বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি গ্রামীণ ব্যাংক প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন কথা বলেন। মন্ত্রী আজ দুপুরে সচিবালয়ে নতুন বছর উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

ওই সময় গ্রামীণ ব্যাংক সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গ্রামীণ বাংক চালু রেখেই ব্যাংকিং খাতে নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করতে চায় সরকার। এ জন্য এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট কমিশনকে আমরা কিছু সুপারিশ দিয়েছি।

মন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের সাপ্তাহিক কিস্তির প্রথা এখন আর দরকার নেই। কারণ মানুষ কিস্তি দিতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। দ্রুত বিনিয়োগ তুলে আনতে ও কিস্তি প্রথায় অভ্যস্ত করার জন্যই এই সাপ্তাহিক কিস্তি চালু করা হয়েছিল।

মুহিত জানান, তিনি যখন গ্রামীণ ব্যাংকের দায়িত্বে নিয়েছিলেন, তখন ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৪০ শতাংশ। এখন তা ৯ থেকে ১০ ভাগে নেমে এসেছে।

মন্ত্রী এ সময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন ২০১৬ সালের মতো ২০১৭ সালও বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য ভালো কাটবে।

তবে নতুন বছরে বিনিয়োগের পরিস্থিতি অর্থনীতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলে মনে করেন তিন। অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিনিয়োগ পরিস্থিতি এখনও দুর্বল। এ অবস্থা থেকে আমাদের উন্নতি করতে হবে।

বর্ষবরণ প্রথা সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের দেশে ইংরেজি বছরকে আমরা তেমন গুরুত্ব দেই না। অর্থনীতিতে আমরা জর্জিয়ান ক্যালেন্ডার ফলো করি। এটা খারাপ না। তবে, আমাদের বাংলা ক্যালেন্ডারও অনেক ভালো।

এ সময় বিনামূল্যে বই বিতরণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ২০১০ সালে আমরা যখন বিনামূল্যে বই বিতরণ শুরু করেছিলাম। তখন একটি আর্থিক চাপ ছিল। কিন্তু এখন বই উৎসবের যে আনন্দ তার কাছে ওই চাপ কিছুই না। আনন্দটাই বড় কথা। নতুন বইয়ের গন্ধে শিশুদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়, তা অর্থ দিয়ে পরিমাপ করা যায় না।