খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে আগ্রহ হারিয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিগুলোতে সাধারণত ৫ ধরণের বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করে থাকেন। উদ্যোক্তা পরিচালকদের সাথে সাথে কোম্পানিগুলোতে সরকার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, বিদেশী বিনিয়োগকারী এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদেরও শেয়ার থাকে। কোম্পানিগুলোর আর্থিক অবস্থানের সাথে সাথে এসকল খাতওয়ারি শেয়ারের পরিমাণেও হ্রাসবৃদ্ধি ঘটে।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ারের পরিমাণ কোন কোম্পানির অবস্থান বুঝতে বড় রকমের সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা নিজেদের বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে প্রায়শই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণের পরিমাণ দেখে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকেন।
বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে রয়েছে, মার্চেন্ট ব্যাংক, তালিকাভুক্ত এবং বিনা তালিকাভুক্ত কোম্পানিসমূহ, নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বাজারের স্টেক হোল্ডাররা।
গত মাসের বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে খাদ্য এবং আনুষাঙ্গিক খাতের কোম্পানিগুলোতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ দৃশ্যমান পর্যায়ে কমে গেছে। এই খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা ১৮টি।
এর মধ্যে ১২টি কোম্পানিতেই কমে গেছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের পরিমাণ। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে মাত্র ২টি কোম্পানিতে। ২টি কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের কোন পরিবর্তন হয়নি। মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক এবং মেঘনা পেটে কোন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ নেই।
এগ্রিকালচার মার্কেটিং কোম্পানি লিমিটেড (প্রাণ) এবং রহিমা ফুডস লিমিটেডে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগে কোন হেরফের নেই। এই দুই কোম্পানিতে যথাক্রমে ১৩.১৩ এবং ২৮.৫৫ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ রয়েছে।
এপেক্স ফুডস লিমিটেড : ৩১ আগস্ট’ কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ারের পরিমান ছিল ১০ শতাংশ। ৩০ সেপ্টেম্বর’ তা কমে দাঁড়ায় ৭.৯২ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কমেছে ২.০৮ শতাংশ।
বঙ্গজ লিমিটেড : ৩১ আগস্ট’ কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ারের পরিমান ছিল ৮.২৫ শতাংশ। ৩০ সেপ্টেম্বর’ তা কমে দাঁড়ায় ৮.১২ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কমেছে ০.১৩ শতাংশ।
ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো : ৩১ আগস্ট’ কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ারের পরিমান ছিল ১০.৪৩ শতাংশ। ৩০ সেপ্টেম্বর’ তা কমে দাঁড়ায় ১০.৩১ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কমেছে ০.১২ শতাংশ।
এমারেল্ড ওয়েল : ৩১ আগস্ট’ কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ারের পরিমান ছিল ৭.৩৯ শতাংশ। ৩০ সেপ্টেম্বর’ তা কমে দাঁড়ায় ৭.০৭ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কমেছে ০.৩২ শতাংশ।
ফাইন ফুডস লিমিটেড : ৩১ আগস্ট’ কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ারের পরিমান ছিল ৩.৭২ শতাংশ। ৩০ সেপ্টেম্বর’ তা কমে দাঁড়ায় ২.২৫ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কমেছে ১.৪৭ শতাংশ।
ফু-ওয়াং ফুডস : ৩১ আগস্ট’ কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ারের পরিমান ছিল ৭.১৬ শতাংশ। ৩০ সেপ্টেম্বর’ তা কমে দাঁড়ায় ৬.৮৩ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কমেছে ০.৩৩ শতাংশ।
জেমিনি সি ফুডস : ৩১ আগস্ট’ কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ারের পরিমান ছিল ৪.৯৩ শতাংশ। ৩০ সেপ্টেম্বর’ তা কমে দাঁড়ায় ৩.৮৬ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কমেছে ১.০৭ শতাংশ।
গোল্ডেন হারভেস্ট লিমিটেড : ৩১ আগস্ট’ কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ারের পরিমান ছিল ৩৯.০২ শতাংশ। ৩০ সেপ্টেম্বর’ তা কমে দাঁড়ায় ৩৮.৮৮ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কমেছে ০.১৪ শতাংশ।
ন্যাশনাল টি কোম্পানি লিমিটেড : ৩১ আগস্ট’ কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ারের পরিমান ছিল ১৪.৭৫ শতাংশ। ৩০ সেপ্টেম্বর’ তা কমে দাঁড়ায় ৮.৯৬ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কমেছে ৫.৭৯ শতাংশ।
আরডি ফুডস লিমিটেড : ৩১ আগস্ট’ কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ারের পরিমান ছিল ১৮.১৪ শতাংশ। ৩০ সেপ্টেম্বর’ তা কমে দাঁড়ায় ১৫.৮৫ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কমেছে ২.২৯ শতাংশ।
শ্যামপুর সুগার মিলস লিমিটেড : ৩১ আগস্ট’ কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ারের পরিমান ছিল ৭.৭৩ শতাংশ। ৩০ সেপ্টেম্বর’ তা কমে দাঁড়ায় ৫.৭৫ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কমেছে ১.৯৮ শতাংশ।
জিল বাংলা সুগার মিলস লিমিটেড লিমিটেড : ৩১ আগস্ট’ কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ারের পরিমান ছিল ০.০৩ শতাংশ। ৩০ সেপ্টেম্বর’ তা কমে দাঁড়ায় ০.০২ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কমেছে ০.০১ শতাংশ।
বিচ হ্যাচারী লিমিটেড : ৩১ আগস্ট’ কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ারের পরিমান ছিল ১৯.৭২ শতাংশ। ৩০ সেপ্টেম্বর’ তা বেড়ে দাঁড়ায় ২০.৩৫ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বেড়েছে ০.৬৩ শতাংশ।
অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড : ৩১ আগস্ট’ কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ারের পরিমান ছিল ১২.৬২ শতাংশ। ৩০ সেপ্টেম্বর’ তা বেড়ে দাঁড়ায় ১২.৭৩ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বেড়েছে ০.১১ শতাংশ।