দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, পরিচালকদের চাপে বাড়ির কাজের বুয়ার খরচ অনেক কোম্পানির ব্যয় হিসাবে দেখানো হয়। এছাড়া বাজার খরচ, ড্রাইভারদের বেতনও কোম্পানির ব্যয় হিসাবে দেখানো হয়। এসত্ত্বেও নিরীক্ষকের আপত্তি না তোলার ঘটনা ঘটছে। বুধবার সকালে আগারগাঁওয়ের বিএসইসি মাল্টিপারপাস হলে ‘ফাইন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্ট অ্যানালাইসিস অ্যান্ড ডিটেকশন অব ফ্রড’ বিষয়ক সেমিনারে প্যানেল আলোচকের বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

অভিজ্ঞতার আলোকে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, অডিটর নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোম্পানির চেয়ারম্যান সিএফওকে বলেন, কাকে নিরীক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিচ্ছ, সে কথা শুনবে তো। এটা হল নিরীক্ষক নিয়োগের প্রথম শর্ত। এই সমস্যাটি নিয়ে আমরা ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলে (এফআরসি) আলোচনা করেছি। তিনি বলেন, ফাইন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্ট একটি কোম্পানির আয়না। ওই স্টেটমেন্টের মধ্যে কোম্পানির সব তথ্য থাকে। কিন্তু কোম্পানিগুলো যে তথ্য তুলে ধরে, তাতে বিনিয়োগকারীদের অনাস্থা, অবিশ্বাস ও ভয় রয়েছে।

এছাড়া কোম্পানির মালিক ও নিরীক্ষকের মধ্যে যোগসাজোশের একটি সমস্যা রয়েছে। যাদের সঙ্গে সর্ম্পক্য ভালো, কোম্পানিগুলো তাদেরকেই নিরীক্ষা করতে দেন। কারন এই বাংলাদেশ একটি ছোট জায়গা। এখানে ৩৭০জন চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ১৫৯টি অডিট ফার্ম দিয়ে নিরীক্ষা কাজ করেন। কাজেই এরা কোন না কোনভাবে কোম্পানির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি আরও বলেন, আর্থিক হিসাবে কৃত্রিম বা অসত্য তথ্য দেওয়ার কাজে প্রফেশনাল অ্যাকাউন্টেন্টরা জড়িত। কোম্পানির চেয়ারম্যানদের চাপে তারা এই কাজ করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন। এছাড়া বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও বাংলাদেশ একাডেমি অব সিকিউরিটি মার্কেটিংয়ের (বিএএসএম) ডিজি মো. মাহবুবুল আলম, বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদ, বিএসইসির পরিচালক কামরুল আনাম খান, সিডিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শুভ্র কান্তি চৌধুরী, সিএমজেএফের প্রেসিডেন্ট হাসান ইমাম রুবেল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।