দেশ প্রতিক্ষণ, বরিশাল: ১০ হাজার প্রবাসীর হদিস পাচ্ছে না বরিশালের বিভাগীয় প্রশাসন। গত ১৯ দিনে বরিশাল বিভাগে ১০ হাজার ৩০৩ জন প্রবাসী দেশে ফিরলেও হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত হয়েছে মাত্র ৪০৭ জনের। গ্রামের ঠিকানায় তাদের খুঁজে পাচ্ছে না সরকারি প্রশাসন। তবে পুলিশের বিশেষ শাখার তালিকা অনুযায়ী সবাইকে খুঁজে বের করে কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

গোয়েন্দা পুলিশের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী, নিখোঁজ থাকাদের খুঁজে পেতে বিভাগের ৬ জেলা ও ৪০ উপজেলা প্রশাসন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেছেন বিভাগীয় কমিশনার। তিনি সম্মিলিতভাবে প্রবাস ফেরতদের খুঁজে কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার জন্য সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিসহ সবার প্রতি আহ্বান জানান। একই সঙ্গে পর্যটন কেন্দ্র, পার্ক, কোচিং সেন্টার, শপিংমল, সিনেমাহলসহ জনসমাগম এড়িয়ে চলার নির্দেশনা দেন। এর ব্যত্যয় হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন বিভাগীয় কমিশনার।

সিভিল প্রশাসনের পাশাপাশি করোনা প্রতিরোধে পুলিশের করণীয় বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন ডিআইজি শফিকুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের নিজেদের সতর্ক থেকে প্রবাস ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেন।

ডিআইজি বলেন, ‘এই সংকট মোকাবিলায় সম্মিলত উদ্যোগ প্রয়োজন। প্রবাস ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার অনুরোধ করা হবে। কেউ যদি হোম কোয়ারেন্টিন অমান্য করেন তাদের সরকারি নির্দেশ মানতে বাধ্য করা হবে।’

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, প্রবাস ফেরতদের মাধ্যমেই করোনা ছড়াচ্ছে। তাদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে না পারলে বড় বিপর্যয় হতে পারে। কারও মধ্যে করোনার লক্ষণ দেখা দিলে তাকে বিশেষায়িত হাসপাতালে আইসোলুশনে রাখাসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।

করোনা থেকে দূরে থেকে রোগীদের সেবা দিতে শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভাগের অন্যান্য জেলা সদর ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পিপি (সুরক্ষা সরঞ্জাম) সরবরাহ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। বৃহস্পতিবার থেকে এই সুরক্ষা সরঞ্জামাদি বিতরণ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক।