এমারেল্ড অয়েলের নতুন চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নতুন চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. শফিকুল ইসলামকে। তিনি সাবেক সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহীদুল হকের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
চলতি বছরের মার্চে খাদ্য ও বস্ত্র খাতের এমারেল্ড অয়েলের স্বতন্ত্র পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসাবে শহীদুল হককে নিয়োগ দিয়েছিল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরপর গত শনিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) দেওয়া ৫২টি ট্রেকহোল্ডার সনদের একটি পেয়েছেন শহিদুল হক। তিনি একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক। এরপর স্বার্থগত দ্বন্দ্ব এড়াতে কোম্পানিটির পর্ষদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেছেন। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
উল্লেখ্য, উৎপাদহীন এমারেল্ড অয়েলকে উৎপাদনে ফেরাতে সাবেক সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহীদুল হককে চেয়ারম্যান করে স্বতন্ত্র পরিচালকদের নিয়ে পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করেছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সেই চেয়ারম্যান শহীদুল হকের পরিবর্তে সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. শফিকুল ইসলামকে কোম্পানিটির নতুন স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে মনোনীত করেছে বিএসইসি। একইসঙ্গে তাকে পর্ষদ চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত করার জন্য এমারেল্ড অয়েলের পর্ষদকে পরামর্শ দিয়েছে কমিশন।
পর্ষদের বাকি চার স্বতন্ত্র পরিচালক হলেন- বিআইবিএমের ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ গোলাম সারোয়ার ও সজীব হোসেন এবং ঢাবির মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার দেব।
এ বিষয়ে বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ডিএসই ৫৫টি প্রতিষ্ঠানকে ট্রেক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এর মধ্যে গত শনিবার ৫২টি প্রতিষ্ঠানকে ট্রেক দিয়েছে। এই ৫২টি প্রতিষ্ঠানের একটি রিলিফ এক্সচেঞ্জ। এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে রয়েছেন মোহাম্মদ শহীদুল হক। তিনি বলেন, আইন অনুসারে, একই সঙ্গে এক ব্যক্তি ট্রেকহোল্ডার প্রতিষ্ঠান ও তালিকাভুক্ত কোম্পানির পর্ষদে থাকতে পারেন না। বিষয়টি জানার পর তিনি নিজে থেকেই এমারেল্ডের পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করেন।