দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম বলেন, আগে আমরা ব্যাংকিং অপারেশনের মাধ্যমে ট্রেজারি বন্ড লেনদেন করতে পেরেছি। এখন আমরা শেয়ারবাজারের মাধ্যমে ট্রেজারি বন্ড লেনদেন করতে পারব। এটি বাংলাদেশের শেয়ারবাজারকে স্থিতিশীল করার পাশাপাশি আস্থা পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এটি পুঁজিবাজারের গভীরতা বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করবে। রোববার ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে সিএসইতে ট্রেজারি বন্ডের (সরকারি সিকিউরিটিজ) পরীক্ষামূলকভাবে লেনদেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমে। এছাড়া অনুষ্ঠানে অর্থ মন্ত্রণালয়, বিএসইসি, সিএসই, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংক ও অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রতিনিধি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

আসিফ ইব্রাহিম বলেন, ট্রেজারি বন্ড লেনদেন আমাদের বিনিয়োগকারীদের একটি নির্দিষ্ট আয়ের উপকরণের মাধ্যমে তাদের পোর্টফোলিও ঝুঁকি মুক্ত করার সুযোগ দেবে। এ বন্ডের জন্য একটি শক্তিশালী সেকেন্ডারি মার্কেট দীর্ঘমেয়াদে সরকারের ঋণের খরচ কমিয়ে দেবে।

তিনি বলেন, গত ১৪ অক্টোবর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ১৬ বছর পর সরকারি ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন পুনরায় শুরু হয়েছে। ডিএসই’র ট্রেডিং সিস্টেম ব্যবহার করে ট্রেজারি বন্ডের প্রথম ট্রেডিং নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। সিএসইতে লার্জ স্কেল পাইলটিংয়ের আওতায় বিভিন্ন মেয়াদি ৪টি সরকারি সিকিউরিটিজের লেনদেন শুরু হয়েছে। এটি আমাদের শেয়ারবাজারের জন্য একটি অসাধারণ মাইলফলক। বিনিয়োগকারীরা এই নতুন স্থির আয়ের পণ্যটির ট্রেডিং শুরু হওয়ার জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা করেছে। এটি সব ধরনের বিনিয়োগকারীদের জন্য উন্মুক্ত হওয়া উচিত।

সিএসই চেয়ারম্যান আরও বলেন, বন্ড বাজার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য অর্থায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। আমাদের বাংলাদেশে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্বমানের বন্ড মার্কেট বাস্তবায়ন করতে হবে। বাংলাদেশে একটি সক্রিয় বন্ড মার্কেটের বিকাশ আর্থিক অবকাঠামো গভীর করার ক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী সুফল বয়ে আনবে। এটি দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে সাহায্য করবে। স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের তাদের সম্পদ বরাদ্দ প্রক্রিয়া আরও ভালোভাবে পরিচালনা করার জন্য প্রণোদনা দেবে।

আসিফ ইব্রাহিম বলেন, সরকারের দ্বারা এককভাবে সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস (এসডিজি) অর্জন করা সম্ভব নয়। এসডিজি অর্জনে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজিতে অর্থায়নের জন্য বাংলাদেশের ৯২৮.৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিরিক্ত অর্থায়নের প্রয়োজন হবে। মানি মার্কেট এই বাড়তি অর্থের যোগান দিতে পারবে না।

তাই এই অতিরিক্ত অর্থ জোগানের সবচেয়ে ভালো উৎস হলো শেয়ারবাজার। প্রসঙ্গত, ‘এ’ ক্যাটাগরিতে সিএসই’র ডেবট বোর্ডের অনুমতি সাপেক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪টি ট্রেজারি বন্ড পরীক্ষমূলক রেনদেন হয়েছে।