খুলনা ব্যুরো, দেশ প্রতিক্ষণ : দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের টানা উত্থানে বাজার নিয়ে আশাবাদী খুলনা বিনিয়োগকারীরা। ফলে প্রাণ ফিরেছে খুলনার সিকিউরিটিজ হাউজগুলোতে। এতে প্রতিদিনই বাড়ছে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা। প্রতিদিনই হচ্ছে নতুন নতুন রেকর্ড। যে কারণে খুলনার বিনিয়োগকারীরাও সিকিউরিটিজ হাউজমুখী হয়েছেন। এতে ঝিমিয়ে পড়া সিকিউরিটিজ হাউজগুলো প্রাণ ফিরে পেয়েছে।

অনেকদিন ধরে নিষ্প্রাণ ছিলো সিকিউরিটিজ হাউজগুলো। সম্প্রতি বাজার ভালো হওয়ায় ফের জমজমাট হয়ে উঠেছে হাউজগুলো। নানামুখী সংস্কারের ফলে বাজারে যে আস্থার সঞ্চার হয়েছে, তা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যাশা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের।

এদিকে, বাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকায় যেসব বিনিয়োগকারী বাজারবিমুখ হয়ে পড়েছিলেন, তাদের অনেকে বাজারমুখী হতে শুরু করেছেন। পাশাপাশি কিছু নতুন বিনিয়োগকারীও বাজারে প্রবেশ করছেন বলে জানিয়েছেন সিকিউরিটিজ হাউজ কর্মকর্তারা। খুলনার ১৭টি সিকিউরিটিজ হাউজের বেশ কয়েকটি হাউজের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া যায়।

তারা বলছেন, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য নানা ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি নতুন কোম্পানি সম্প্রতি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি পাইপলাইনে রয়েছে। এসব উদ্যোগের কারণে বিনিয়োগকারীরা ধীরে ধীরে বাজারমুখী হচ্ছেন।

আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ হাউজের খুলনা শাখা ব্যবস্থাপক তাপস কুমার সাহা বলেন, মন্দাভাব কাটিয়ে আবারও গতি ফিরেছে পুঁজিবাজারে। একইসঙ্গে প্রাণ ফিরে পেয়েছে সিকিউরিটিজ হাউজ। আশা করা যাচ্ছে, খুব শিগগিরই শক্ত ভীতের ওপর দাঁড়াবে পুঁজিবাজার।

বিনিয়োগকারী রোকনুজ্জামান ও আশিস কুমার দাস বলেন, বিএসইসির কমিশন পুঁজিবাজারবান্ধব অনেকগুলো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বেশকিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে বাজারে। পুঁজিবাজারে ঊর্ধ্বমুখী ধারা বিরাজ করায় বাজার নিয়ে আশাবাদী আমরা। প্রতিদিনই অনেক লেনদেন হচ্ছে বাজারে। এতে পুঁজিবাজারে গতি ফিরে এসেছে। ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।