দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় মোখার আতঙ্কে আম পেড়ে ফেলা হচ্ছে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায়। চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত আম পাড়ায় দুদিনের ব্যবধানে অর্ধেকে নেমে এসেছে এই মৌসুমি ফলের দাম। এতে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছেন চাষিরা। যদিও কৃষি অফিস থেকে এভাবে আম না পাড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

চাষিরা আতঙ্কে আম পেড়ে ফেলতে পারেন, এ আশঙ্কায় গত বৃহস্পতিবার সমন্বয় সভা করেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ মনিরুল ইসলাম। আবহাওয়া অধিদপ্তরকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ওই সভায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে, সাতক্ষীরায় আঘাত হানার আশঙ্কা নেই বললেই চলে। আমচাষিদেরও দেওয়া হয়েছে এ পরামর্শ; কিন্তু তারা না শুনে আম পেড়ে ফেলছেন।

সাতক্ষীরার ৭ উপজেলায় এবার ৪ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। জেলায় আমচাষির সংখ্যা ১৩ হাজার ১০০ জন। এ মৌসুমে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫ হাজার ৫০০ টন। প্রথম ধাপে ৫ মে থেকে গোবিন্দভোগ ও গোপালভোগ পাড়া শুরু হয়। দ্বিতীয় ধাপে গতকাল শুক্রবার থেকে হিমসাগর পাড়া ও বাজারজাত শুরু হয়েছে। ১৮ মে ল্যাংড়া ও ২৮ মে থেকে আম্রপালি আম পাড়া ও বাজারজাত শুরু হওয়ার কথা।

আমচাষিরা বলছেন, এবার আমের ফলন ভালো হয়েছে। তবে মোখার আতঙ্কে সবাই আম পাড়তে শুরু করায় দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। এতে তারা বড় ধরনের লোকসানে পড়ছেন। দুদিন আগেও যে আম ২ হাজার টাকা মণ বিক্রি করেছেন, তা গতকাল বিক্রি হয়েছে ১ হাজার টাকা মণ দরে।

এ বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর বড়বাজারে বিপুল পরিমাণে আম উঠেছে। যা চাহিদার তুলনায় কয়েক গুণ। ফলে এসব আমের দাম অর্ধেকে নেমে গেছে। তবে ভালোমানের আমের দাম খুব একটা কমেনি।