দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কক্সবাজার উপকূলে সাগরের পানির উচ্চতা বাড়ছে। সঙ্গে বাড়ছে বাতাসের গতিও। গতকাল শনিবার মধ্যরাত থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। যার ফলে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ঝুঁকিতে থাকা বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ঝুঁকিতে থাকা সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন বলেন, শনিবার রাতেও তেমন বাতাস ছিল না। আজ রোববার ভোর থেকে বাতাস ও বৃষ্টি বাড়ছে। সঙ্গে উচ্চতা বেড়েছে সাগরে। দমকা হাওয়া নিয়ে মোখা আঘাত হানলে দ্বীপের মানুষের কী হবে, তা অনুমানও করা যাচ্ছে না।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, দ্বীপে স্থানীয় ও বাইরের ব্যবসায়ী মিলিয়ে প্রায় ৭ হাজারের অধিক লোক অবস্থান করছে। কিছু বাসিন্দা টেকনাফে চলে গেছে। যারা সেন্টমার্টিনে অবস্থান করছে, তারা হোটেল, স্কুল-মাদ্রাসা, হাসপাতাল ও সাইক্লোন শেল্টারে অবস্থান করছে। শেল্টারগুলো সাগরের কিনারে। তাই জলোচ্ছ্বাস হলে কেউ নিরাপদ নয়।

মহেশখালী মাতারবাড়ীর বাসিন্দা মো. খালেদ মাহমুদ জানান, সাগরে পানির উচ্চতা বাড়তে শুরু করেছে, সঙ্গে বাড়ছে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি। বাতাসের গতি বাড়লে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত উপকূলে বাড়তে পারে। তখন জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে।

কুতুবদিয়ার বাসিন্দা নুরুল আমিন বলেন, আগের ঘূর্ণিঝড়গুলোর চেয়ে মোখার ভয়াবহতা বেশি হবে, সেই প্রচারণার পর থেকে ভয়ের মধ্যে আছি। রোববার ভোর থেকে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি বাড়তে থাকায় আতঙ্কটা আরও বেড়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ঘুর্ণিঝড় মোখার আঘাত থেকে লোকজনকে নিরাপদ রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দাদের বিভিন্ন হোটেল-মোটেলসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উঁচু ভবনে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার মজুত আছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিভীষণ কান্তি বলেন, উপকূল, নিম্নাঞ্চল এবং পাহাড়ে ঝুঁকিতে থাকা লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। আমরা ক্ষতিরোধে করণীয় সবকিছুই করছি।