রাকিবুল ইসলাম তনু ,পটুয়াখালী : পটুয়াখালীতে ক্লোরোফর্ম (চেতনা নাশক ঔষধ) প্রয়োগ করে অর্থ-সম্পদ লুটের ঘটনায় জড়িত অজ্ঞান পার্টির তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযানকালে গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে লুন্টিত মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন-সদর উপজেলার লাউকাঠি‘র মৃত দিলীপ কর্মকারের ছেলে রতন কুমার কর্মকার(৩৫), আমতলী উপজেলার গেড়াবুনিয়ার গ্রামের দেলোয়ার মৃধার ছেলে মাহাতাব হোসেন(৩৯) এবং গলাচিপা উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের হাবিব মৃধার ছেলে রাশেদুল মৃধা(৩২)। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

ঘটনার বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন-গত ৯ জুন দুমকী উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের প্রয়াত ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের বাড়ীতে হানা দেয় এ চক্র। এ সময় চক্রটি চেতনা নাশক ঔষধ ক্লোরোফর্ম প্রয়োগ করে পরিবারের সদস্যদের অজ্ঞান করে দুটি ঘর থেকে ১০ লাখ টাকার স্বর্নালঙ্কার,নগদ ৪৫ হাজার টাকা এবং ব্যবহৃত একটি মোবাইল সেট লুটে নেয়। সংঙ্গাহীন অবস্থায় জসীম উদ্দীন ও তার স্ত্রী রীতা বেগমকে পটুয়াখালী এবং পরে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেলে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

পরবর্তীতে মোস্তফা কামালের ছোট ভাই জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে দুমকী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত ৫ জুলাই শহরের চৌরাস্তা থেকে দেলোয়ারকে লন্ঠিত মোবাইলসহ আটক করে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুসারে পৌর শহরের কলাতলা থেকে রাশেদুল এবং লাউকাঠি থেকে রতনকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সুপার জানান, রাশেদ ও দেলোয়ার কলাতলা সড়কের শান্তিনগর লেনের কবির মিয়ার বাসায় ভাড়া থেকে চুরি কাজ পরিচালনা করতেন। স্বর্নকার রতন কর্মকারের কাছে বিক্রি করতেন চোরাই স্বর্ন। অভিযানকালে রাশেদুলের বাসা থেকে চোরাইরকৃত কাপর,স্বর্ণালংকার, মোবাইল সেট,মটরসাইকেল এবং চুরি কাজে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র এবং সরঞ্জাম, মাঙ্কিটুপি,কালো শার্ট-প্যান্ট, চেতনা নাশক ঔষধ, ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
এ চক্রের সাথে এ পর্যন্ত ৮ জনকে সনাক্ত করা গেছে এবং সবাইকে ধারাবাহিকভাবে গ্রেফতার করা হবে দাবী করেন পুলিশ সুপার।