দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি কাট্টালি টেক্সটাইল লিমিটেড কেন তাদের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) তহবিল ব্যবহার করতে ব্যর্থ হচ্ছে তা জানতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটির সদস্যরা হলেন: বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া ও মোঃ সহিদুল ইসলাম এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সহকারী মহাব্যবস্থাপক মাসুদ খান।

বিএসইসির একজন কর্মকর্তা বলেন, কোম্পানিটি নির্ধারিত সময়ে আইপিও তহবিল সঠিকভাবে ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়েছে। এছাড়া কোম্পানিটি এখন আংশিকভাবে চালু থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছে কমিশন। এর ফলে কোম্পানিটি সময়মতো সম্প্রসারণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে, বিনিয়োগকারীদের তাদের প্রত্যাশিত রিটার্ন থেকে বঞ্চিত করেছে। তদন্ত কমিটি কোম্পানিটির আর্থিক বিবরণীসহ সার্বিক ব্যবসা কার্যক্রম তদন্ত করবে বলে জানান তিনি।

২০১৮ সালে কাট্টালি টেক্সটাইল আইপিও তহবিলের মাধ্যমে মূলধনী যন্ত্রপাতি ক্রয়, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার স্থাপন এবং আইপিও খরচ বহন করার জন্য শেয়ারবাজার থেকে ৩৪ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। কোম্পানিটি ২০২০ সালের অক্টোবরের মধ্যে তহবিলটি ব্যবহার করার কথা ছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত কোম্পানিটি আইপিও তহবিলের মাত্র ১৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যবহার করেছে। যা আইপিও তহবিলের মাত্র ৪৯.৫০ শতাংশ।

কাট্টলী টেক্সটাইলের আইপিও তহবিল উত্তোলনের বিষয়টি বেশ বিতর্কিত ছিল। কিছু বিনিয়োগকারী অভিযোগ করেছিলেন, প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসায়িক কার্যক্রমের সুবিধা ব্যবহার না করে কেবল চট্টগ্রামে এর কারখানা ভবন থেকে ভাড়া আয়ের উপর নির্ভর করে চলছে।

২০২০ সালের জুলাই মাসে বিএসইসি কাট্টালীর ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ১ কোটি টাকা জরিমানা করে এবং স্বতন্ত্র এবং মনোনীত পরিচালকদের ব্যতীত অন্যান্য পরিচালকদের প্রত্যেককে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করে। তারপরে ২০২২ সালের জুলাই মাসে কমিশন কোম্পানির আইপিও তহবিল ব্যবহার করতে না পারায় উদ্বেগ প্রকাশ করে। কাট্টালি টেক্সটাইল বিভিন্ন ধরনের পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানি করে। এর উৎপাদন ক্ষমতা প্রতি মাসে ৪ লাখ ৩৭ হাজার ২৫০ পিস গার্মেন্টস।