দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: মজুতদারদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রোববার জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনে গতিশীলতা আনতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) চার দিনব্যাপী বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে রেকর্ড পঞ্চম মেয়াদে দায়িত্বগ্রহণের পর প্রথমবারের মতো তিনি আজ সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) শাপলা হলে সম্মেলন-২০২৪ উদ্বোধন করেন।

এ সময় জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, সামনে রোজা আসছে। রোজার মাস এলে কিছু ব্যবসায়ী মজুতদারি করে, দাম বাড়িয়ে মুনাফা লুটতে চায়। সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে হবে। পরনির্ভরশীলতা কমাতে হবে। আরেকটা হচ্ছে, সরবরাহ সমস্যা। অনেক সময় কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হয়। মজুত করে পচিয়ে ফেলবে কিন্তু বাজারে পণ্য দেবে না। এ জন্য কঠোর আইনি ব্যবস্থা প্রয়োগ করা দরকার।
তিনি বলেন, এখন আমরা জানি, রাশিয়া-ইউক্রেন ও কোভিড মহামারির কারণে বিশ্ব অর্থনীতি মন্দার মধ্যে যাচ্ছে। বাংলাদেশও এর থেকে দূরে নয়।

আমাদের বাজার পরিস্থিতি, মূল্যস্ফীতির দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। রমজান মাসকে সামনে রেখে আমি এ কথাগুলো বললাম, মানুষের নাগালে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস যাতে যায় তার দিকে সবাইকে নজর দিতে হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া।

অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনারদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম এবং জেলা প্রশাসকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রামের ডিসি আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ও গাইবান্ধার ডিসি কাজী নাহিদ রসুল। সম্মেলনের পরবর্তী কার্য অধিবেশন আগামীকাল (৪ মার্চ) থেকে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে ২৫টি কার্য অধিবেশনসহ মোট ৩০টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে ডিসিদের দেওয়া ৩৫৬টি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে।

এবারের ডিসি সম্মেলনে প্রধান আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণরোধ, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম জোরদার করা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম, স্থানীয় পর্যায়ে কর্ম-সৃজন ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি বাস্তবায়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ই-গভর্নেন্স, ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সমন্বয় করা।