প্রশাসনের অনুমতি না নিয়েই জবির পোগজ স্কুলে নির্বাচন কেন্দ্র, ব্যানার-ফেস্টুন
দেশ প্রতিক্ষণ, জবি : বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে না জানিয়েই নির্বাচন কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইআর) এর অধীনস্থ পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজকে। এমনকি ব্যানার ফেস্টুনেও সয়লাব করা হয়েছে পুরো ক্যাম্পাস।
২৩ সেপ্টেম্বর (বুধবার) পগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজে গিয়ে বৃহত্তর নোয়াখালী গার্মেন্টস এক্সেসোরিজ ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নির্বাচনী ব্যানার ফেস্টুন ঝুলে থাকতে দেখা যায়। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর (শানিবার) এখানে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ পুরোপুরি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধীনস্থ হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে না জানিয়ে নির্বাচনের জন্য ভাড়া দিয়েছে পোগোজ স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মো. মনির হোসেন।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় চলাকালীন বিভিন্ন সময় পোগোজ স্কুল এন্ড কলেজকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ভাড়া দিতে দেখা যায়। এতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট এর শিক্ষার্থীদের নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
এ বিষয়ে পগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মো. মনির হোসেন বলেন, আমরা ডিসি মহোদয় এবং পুলিশ থেকে অনুমতি নিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে অনুমতি নেয়া হয়েছে কিনা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমরা অনুমতি নিয়ে নিবো। ভিসি স্যার আমাদের হলরুম ভাড়া দেয়ার জন্য সবসময় অনুমতি দিয়ে থাকেন৷ তবে ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি ছাড়া আর এমন হবে না বলে জানান তিনি। তবে শনিবার নির্বাচন হওয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিউটের পরিচালক মনিরা জাহান বলেন, আমি সকাল থেকেই এবিষয়ে সমাধান করার চেষ্টা করছি, আমাদের শিক্ষার্থীরা এই বিষয়ে বেশ ক্ষুব্ধ। স্কুল পরিচালনায় এখন যে কমিটি হয়েছে সেখানে আমি নেই। আর স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমাকে কিছু জানিয়ে করেন না। ওনাকে এর আগেও বলার চেষ্টা করেছি পোগোজ যেহেতু আমাদের অধীনে, যে কোনো কাজ করতে আমাদের জানাতে হবে। এ বিষয়ে আমাদের প্রক্টরদের জানিয়েছি। ওনারা এ বিষয়টা দেখবেন।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, পোগোজে কোন প্রকার নির্বাচনের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। এখন যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে এই পরিস্থিতিতে সকল প্রকার সভা-সমাবেশ বন্ধ থাকবে। এই নির্বাচনের কোনভাবেই অনুমতি দেয়া হবে না আমরা ব্যাবস্থা নিচ্ছি।