ঈশ্বরদী থেকে জীবননগর এসে গ্যাঁড়াকলে পরকীয়া প্রেমিক!
মারুফ মালেক,জীবননগর: মোবাইল ফোনের মিসকলের সূত্র ধরে দীর্ঘ তিন বছর ধরে পরকীয়া প্রেমের ইটিস-পিটিস খেলার পর অবশেষে পরকীয়া প্রেমিকার ডাকে সাড়া দিয়ে সুদুর ঈশ্বরদী থেকে জীবননগর পৌর এলাকার সুবলপুর এসে পরকীয়া জুটি এক সাথে মধুর নিশিযাপণ কালে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়ানো এক বিএনপি কর্মি। যত নষ্ট গুড়ির সিন্নি ওই বিএনপি কর্মি।
পরকীয়া প্রেমিক জুঁটি আনন্দঘন মূহুর্ত পার করার সময় বিএনপির ওই কর্মি ওই বাড়ীতে আশ্রয় নিতে গিয়েই শুরু হয় বিপত্তি।পরকীয়া জুঁটি পড়ে গ্যাঁড়াকলে। প্রতিবেশীরা তাদেরকে আটক করে শুরু করে উত্তম-মধ্যম।
পরকীয়া প্রেমিকা সকালে প্রেমিককে ফেলে পিতার বাড়ীতে পাড়ি জমালেও প্রেমিক বেচারাকে উত্তেজিত জনতা বেঁধে রেখে কুঁচে ক্যালানে করতে থাকে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই যুবককে এলাকাবাসী আটকে রেখে তার আত্মীয়-স্বজনের অপেক্ষায় প্রহর গুনছিলেন।
এলাকাবাসী ও আটককৃত প্রেমিক সূত্র জানায়,জীবননগর পৌর এলাকার সুবলপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে আব্দুর রউফ চিটুর স্ত্রী আফরোজা বেগম ওরফে স্বপ্না(৩০) এক সন্তানের জননী।
গত তিন বছর আগে তার মোবাইল ফোন থেকে একটি মিসকল চলে যায় পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার গোকুলনগর গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে আনারুল ইসলামের(৩৫) মোবাইল ফোনে।
তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনের মিসকলের সূত্র ধরে পরিচয় হয়। এ পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ফোনে কথাবার্তার এক ফাঁকে মনের অজান্তেই ভাবের বিনিময় হয়। আর ভাব থেকেই শুরু হয় প্রেম। গৃহবধূ স্বপ্না ঘরে স্বামী আর পাঁচ বছর বয়সের একমাত্র পুত্র সন্তানকে রেখে প্রেম সাগরে পাড়ি দিয়ে চুঁটিয়ে চালাতে থাকে পরকীয়া প্রেমের নৌকা।
মোবাইল ফোনে আর এ ভাবে কতদিন চলতে পারে তাদের পরকীয়া প্রেম। এ অবস্থায় স্বপ্নার মনে নতুন স্বপ্ন তোলা দিতে থাকে। সে তার প্রেমিক যুবককে এক নজর দেখতে ব্যাকুল হয়ে পড়ে। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় স্বামী।
এ পর্যায়ে গৃহবধূ স্বপ্নার পরিকল্পনায় একমাত্র পুত্রকে তার নানার বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এদিকে স্বামী চুটি ঘটনার আগের দিন তার একমাত্র পুত্রকে শ্বশুর বাড়ী থেকে আনার জন্য বাড়ীতে স্ত্রীকে রেখে চলে যায়। এ সুযোগে স্বপ্না তার সাধের নাগর প্রেমিক যুবক আনারুল ইসলামকে জীবননগরে আসার প্রস্তাব দেয়।
প্রেমিকার ডাকে সাড়া দিয়ে ওই যুবক গত শুক্রবার বিকালে জীবননগর বাসষ্ট্যান্ডে এসে হাজির হয়। গৃহবধূ স্বপ্না সেখান থেকে প্রেমিক যুবককে সাথে করে বাড়ীতে নিয়ে ওঠে। বিকাল গড়িয়ে রাত ঘন হলে বাড়ীতে কেউ না থাকার সুযোগে তারা দু’জনে একত্রে এক বিছানায় নিশিযাপনে চলে যায়।
চলতে থাকে আনন্দঘন মূহুর্ত। এদিকে প্রতিবেশী বিএনপি কর্মি আলিম পুলিশি গ্রেফতারী এড়াতে নিজের স্ত্রীর সাথে স্বপ্নাকে তার ঘরে রেখে স্বপ্নাদের ঘরে সে আত্মগোপন করবে এ পরিকল্পনায় স্বপ্নার পাশ দিয়ে যেতেই ঘরের ভিতর খাট নড়াচড়ার শব্দ এবং ফিস ফিস শব্দ।
স্বপ্নার স্বামী চিটু বাড়ীতে নেই অথচ তার স্ত্রীর ঘরে এসব অস্বাভাবিক ও বাঞ্চিত শব্দ তার মনে সন্দেহের সৃষ্টি করে। এ অবস্থায় রাত তিনটার দিকে আলিম প্রতিবেশীদের সাথে নিয়ে বিষয়টি পরিস্কার হতে তাকে ঘর খুলতে বললে শুরু হয় নানা টালবাহানা।
এক পর্যায়ে ঘরের দরজা খুলেই তারা দেখতে পায় হুলো বিড়াল ওই যুবককে। পরকীয়া প্রেমিককে লোকজন আটকে তাকে বেঁধে রেখে উত্তম-মধ্যম দিতে থাকে। সকাল হওয়ার সাথে সাথে পালিয়ে যায় গৃহবধূ স্বপ্না। গ্রামের লোকজন জানায়,আটক যুবকের পিতামাতাকে খবর দেয়া হয়েছে।
সেখান থেকে লোকজন আসার পর একটা বিধি-ব্যবস্থা করা হবে। এ ব্যাপারে পৌর সভার সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সুবলপুর গ্রামের বাসিন্দা মাহফুজা আক্তার বিউটি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান,আটক পরকীয়া প্রেমিককে গ্রামের লোকজন আটকে রেখেছে এবং তার পিতামাতা আসার পর এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
হয়েছে। হাবিলদার তোতা মিয়া জানান,ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে পেয়ে গ্রেফতার করা হয়। এ ব্যাপারে সিমান্ত আইন মেনে পতাকা বৈঠক হয় কিন্তু কোন সিদ্ধান্ত না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তাকে আইনে সোপর্দ করা হয়েছে।