দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচ কোম্পানিকে ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নামিয়ে আনা হয়েছে। মুলত শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ না দেওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোম্পানিগুলো হচ্ছে: রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস (আরএসআরএম), সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স, নর্দার্ণ জুট ম্যানুফ্যাকচারিং এবং নূরানী ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার লিমিটেড।

কোম্পানিগুলো সর্বশেষ বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি। এ কারণে নিয়ম অনুসারে এ ক্যাটাগরি থেকে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করেছে। রোববার (২৫ জুন) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর তথ্য মতে, কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২০১৪ সালে তালিকাভুক্ত রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলসের (আরএসআরএম স্টিল) শেয়ার বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ২২ টাকা ৫০ পয়সায়। কোম্পানিটি ২০২০ সালে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। কিন্তু ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোনো লভ্যাংশ করেনি। এজন্য ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নামিয়ে আনা হয়েছে।

একইভাবে ২০২৪ সালে তালিকাভুক্ত সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ শেয়ারহোল্ডারদের সর্বশেষ ৩০ জুন ২০১৯ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। তারপর থেকে লভ্যাংশ দেয়নি। তাই কোম্পানিটিকে ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নামিয়ে আনা হয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ার বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে ১৯ টাকা ২০ পয়সায়।

২০১৩ সালে তালিকাভুক্ত অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স লিমিটেডের শেয়ার বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে ৮ টাকা ৭০ পয়সায়। কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০১৮ সালে শেয়ারহোল্ডারদের সর্বশেষ ৩ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছিল। তারপর থেকে অ্যাপোলো ইস্পাত লভ্যাংশ দিচ্ছে না শেয়ারহোল্ডারদের। তাই ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নামিয়ে আনা হয়েছে।

২০১৯ সালের পর থেকে শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়রি নর্দার্ণ জুট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ার বৃহস্পতিবার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ১৯ টাকা ২০ পয়সায়। তাই ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নামিয়ে আনা হয়েছে।

২০১৭ সালে তালিকাভুক্ত নূরানী ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার লিমিটেডের শেয়ার বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে ৭ টাকায়। কোম্পানিটির ৩০ জুন সমাপ্ত বছরের এজিএম হয়েছে। নূরানী ডাইং ২০২০ সালে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছিল। তারপর থেকে আর কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। সেজন্য কোম্পানিটিকে ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নামিয়ে আনা হয়েছে।