এক বছরে কুষ্টিয়ায় ১১৭ খুন !
এস এম জামাল,কুষ্টিয়া: ত্রাসের জনপদ কুষ্টিয়ায় গত এক বছরে আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছে। মত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে কুষ্টিয়া। কুষ্টিয়ায় বছর জুড়ে চলেছে হত্যা-খুন এবং অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারের ঘটনা। কুষ্টিয়ায় খুনের হিংস্রতা, বর্বরতা, নৃশংসতা ও পৈশাচিকতা যেন জাহেলী যুগের এক প্রতিচ্ছবি।
পৃথিবীর সব বর্বরতাকে হার মানিয়ে মায়ের হাতে সন্তান খুন, ছেলের হাতে পিতা খুন, ভাইয়ের হাতে ভাই এমনকি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধা খুনের নির্লজ্জ ইতিহাস রচিত হয়েছে এই কুষ্টিয়ায়। লোমহর্ষক ও নৃশংস হত্যাকান্ডের কারণে সমগ্র জেলা আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়।
পুলিশ প্রশাসন খুন ঠেকাতে অনেকটা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, শ্রমিক, চালক-মালিক, অজ্ঞাত ব্যক্তি, শিশু ও নারীসহ সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে খুন করা হয়েছে। বছরের শুরুতে পুলিশের হাতকড়া লাগানো অবস্থায় এক বিএনপি নেতা খুনের বিষয়টি যেমন আলোচিত তেমনি বছরের শেষ দিকে জগন্নাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও কুষ্টিয়ায় জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও চেম্বার অব কর্মাস ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালকে গুলি করে হত্যা তেমনি ভাবে আলোচিত হয়েছে।
তবে অবাক করা বিষয় বছর জুড়ে এসব হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটলেও হোতাদের বেশির ভাগ থেকেছে ধরা ছোঁয়র বাইরে। ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২ মাসে জেলায় ১১৭টি খুনে ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে ৯, ফেব্র“য়ারি মাসে ৯, মার্চ মাসে ১২, এপ্রিল মাসে ৭, মে মাসে ১১, জুন মাসে ১১, জুলাই মাসে ১৩, আগস্ট মাসে ১০, সেপ্টেম্বর মাসে ৯, অক্টোবর মাসে ১০, নভেম্বর মাসে ৯ এবং ডিসেম্বর মাসে ৭টি খুন সংঘটিত হয়েছে।
সুত্র জানায়, ৩ জানুয়ারি কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার গোস্বামী দূর্গাপুর ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে দুই জন নিহত হয়। নিহতরা হলেন-ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার তেলটুপি গ্রামের আলম হোসেনের ছেলে আরিফ হোসেন (২৫) ও চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ধম্ব^লপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলাম (৩৫)। ৫ জানুয়ারি কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের আদাবাড়িয়া গ্রামের মাঠ থেকে হাতকড়া লাগানো অবস্থায় রফিকুল ইসলাম মজুমদার নামে ঢাকার ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মজুমদারের লাশ উদ্ধার করা হয়।
১৯ জানুয়ারি কুষ্টিয়া শহরের বড় বাজার লাভলী টাওয়ারের সামনে তিন তলা ভবনের একটি কক্ষ থেকে আলমগীর হোসেন (৫০) নামের এক ব্যাবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আলমগীর কুষ্টিয়া শহরের বড় বাজার পদার্পণ সু ষ্টোরের মালিক। ২১ জানুয়ারি খোকসায় গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কের পাশে মুড়াগাছা কাবমোড় এলাকা থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
২৫ জানুয়ারি দৌলতপুরে ১২ বছরের এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহত ছাত্রী দিঘলকান্দি গ্রামের হাসেম আলীর মেয়ে। ২৫ জানুয়ারি কুষ্টিয়ার মিরপুরে ফিরোজ আলী (২৪) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে তার বন্ধুরা। সে দৌলতপুর উপজেলার রিফায়েতপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। ২৭ জানুয়ারি মিরপুরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টি এমএল জনযুদ্ধের শীর্ষ ক্যাডার এনামুল (৩৬) নিহত হয়। সে উপজেলার মোছাইনগর গ্রামের বাসিন্দা।
৩০ জানুয়ারি মিরপুরে থেকে অজ্ঞাত (৩৫) যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উপজেলার পোড়াদহ রেলওয়ে জংশন পুকুর থেকে ওই যুবকের ভাসমান লাশ উদ্ধার করে। ১ ফেব্র“য়ারী খোকসায় লিংকন (১২) নামে এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। খোকসা উপজেলার পূর্ববেতবাড়িয়া বিল এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। লিংকন খোকসার পূর্ব বেতবাড়িয়া গ্রামের আজাদ শেখের ছেলে। ১ ফেব্র“য়ারী একই দিন কুমারখালিতে নাসিমা খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধুকে যৌতুকের দাবিতে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
সে উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের রামদিয়া গ্রামে সাইদুল ইসলামের স্ত্রী। ১২ ফেব্র“য়ারী কুমারখালীতে ছেলের হাতে বাবা খুন হয়। নিহতের নাম নাসির উদ্দিন ওরফে নসু (৪৫)। উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ১৪ ফেব্র“য়ারী মিরপুরে স্নিগ্ধা আক্তার রিমি (২০) নামে এক কলেজ ছাত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। উপজেলার নওদা বহলবাড়িয়া গ্রাম থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ২১ ফেব্র“য়ারী দৌলতপুরে উর্মি (১০) নামে স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
উপজেলার খলিষাকুন্ডি গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ২২ ফেব্র“য়ারী মিরপুরে পূর্ব শত্র“তার জের ধরে প্রতিবেশীর হামলায় মজিবর রহমান (৪৮) নামে এক ব্যক্তি খুন হয়। উপজেলার কলাবাড়িয়া নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। ২৪ ফেব্র“য়ারী দৌলতপুরে জেমি (১০) নামের ৩য় শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন গোপীনাথ পুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ওই স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়। ২৬ ফেব্র“য়ারী কুমারখালীতে দুই গ্র“পের সংঘর্ষে সাহেব আলী (৫৫) নামে একজন নিহত হয়।
উপজেলার চর-চাপড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাহেব আলী উপজেলার মৃত ইমান আলী ছেলে। ২৬ ফেব্র“য়ারী একই দিন কুষ্টিয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের ছাত্রী সোনিয়া (২২) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সোনিয়া আদদ্বীন হাসপাতালের নার্সিং ইনস্টিটিউটের নিউ তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। তার বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপায়। ২ মার্চ দৌলতপুরে বীনা খাতুন (২০) নামে এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউপির চামনাই গ্রামের জনি সদ্দারের স্ত্রী।
৯ মার্চ দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীরচর গ্রাম থেকে একতার আলী (১৬) নামে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে ওই গ্রামের মুক্তার আলীর ছেলে। ১০ মার্চ ভেড়ামারার লালন শাহ সেতুর টোলপ্লাজার কাছে পাবনার গয়েশ্বরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আলী মৃধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ইব্রাহিম আলী পাবনার মনোহরপুর গ্রামের তাহের মৃধার ছেলে। তিনি পাবনা জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
১২ মার্চ কুষ্টিয়ায় তানিয়া রহমান মৌ (১৬) নামে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। মৌ শহরের জিকেঘাট এলাকার মাছ ব্যবসায়ী মজিবর রহমানের মেয়ে। ১৩ মার্চ দৌলতপুরে ময়না খাতুন (২২) নামে স্বামী পরিত্যক্তা এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উপজেলার চকদৌলতপুর গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ২০ মার্চ দৌলতপুরে রওশন আরা খাতুন (৩২) নামে এক গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যা করে তার দেবর। উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের চরভবনন্দদিয়াড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
২২ মার্চ কুষ্টিয়া শহরের বড়বাজার এলাকার ঘোড়াঘাট সংলগ্ন গড়াই নদী থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তির (৪০) ভাসমান লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ২২ মার্চ একই দিন দৌলতপুরে রিক্তা (৪০) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। উপজেলার গাছেরদিয়াড় উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত হাবিল হোসেনের বিধবা স্ত্রী। ২৪ মার্চ মিরপুরে অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবকের (৩২) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের বরবরিয়া মাঠ থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
২৫ মার্চ ভেড়ামারায় তালাকপ্রাপ্ত দ্বিতীয় স্ত্রীর হাতে মামুন (৩৫) নামের এক যুবক খুন হয়। সে ধরমপুর ইউনিয়ন মৃত আরজ উদ্দীন মন্ডলের ছেলে। ২৬ মার্চ কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বারখাদা মাঠে সাদেক আলী মন্ডল (৫৫) নামের এক কৃষককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহত সাদেক আলী মন্ডল উপজেলার বারখাদা গ্রামের মৃত চাঁদ আলী মন্ডলের ছেলে। ২৭ মার্চ কুষ্টিয়া শহরের কালিশংকরপুরের নিজ বাড়ীতে পরকীয়ার জের ধরে শাহজাদী ফারজানা ববি (৩৫) নামের এক বিটশিয়ানকে গুলি করে হত্যা করে।
নিহত ববি কুষ্টিয়া কালিশংকপুর এলাকার তনু বাবুর স্ত্রী। ৭ এপ্রিল কুমারখালী উপজেলার চৌরঙ্গী পুলিশ ক্যাম্পে হায়দার আলী (৫০) নামে এক আনসার সদস্য গুলিবিদ্ধ লাশ বাথরুম থেকে উদ্ধার করে। নিহত হায়দার আলীর আনসার সিপাহী নং-২৩২৮৪। তিনি ঝালকাঠি জেলার নলছিটির মৃত হাতেম আলীর ছেলে। ৯ এপ্রিল কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের হাতিয়া বাজারে ভাতিজার হাতে চাচা আলতাফ বিশ্বাস (৪০) নামে এক ব্যক্তি খুন হয়।
সে ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার বাগচুয়া গ্রামের মৃত ওলি বিশ্বাসের ছেলে। ১২ এপ্রিল দৌলতপুর উপজেলার চরসোনাতলা গ্রাম থেকে গিতিয়ারা খাতুন (১২) নামে ষষ্ঠ শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ১৩ এপ্রিল কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় পুলিশ হেফাজতে তাইজাল মল্লিক (৪৫) নামে এক কাঠ ব্যবসায়ীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠে। তাইজাল মল্লিক কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আব্দালপুর ইউনিয়নের মৃত বদর মল্লিকের ছেলে।
২২ এপ্রিল ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের হঠাৎপাড়ায় এক লিচু বাগান থেকে শাপলা (২৩) নামের এক গৃহধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শাপলা ভেড়ামারা উপজেলার বরমাইল টিকিটিকিপাড়ার সাইফুল ইসলামের মেয়ে। ২৬ এপ্রিল কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জগতি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নূরীকে (৪৮) পুলিশ পরিচয়ে ডেকে নিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নূরী সদর উপজেলার জগতি ইউনিয়নের চেচুয়া গ্রামের মৃত স্বরূপ হোসেনের ছেলে।
২৬ এপ্রিল একই দিন দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের লালদোয়ার মাঠে মাসুদ (২৪) নামের এক নাপিতকে জবাই করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। সে দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের চর সাদীপুর গ্রামের হাফিজুর রহমান শুকটার ছেলে। ৩ মে কুষ্টিয়ায় অস্ত্রসহ গ্রেফতারের পর র্যাব-১২ হেফাজতে ইকবাল হোসেন (২৫) নামে এক অস্ত্র ব্যাবসায়ীর মৃত্যুর অভিযোগ করে তার পরিবার। ইকবাল হোসেন শহরের বড়বাজার এলাকার মৃত আতিয়ার রহমানের ছেলে।
৩ মে একই দিন ভেড়ামারা উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া দণি ভবানিপুর গ্রামের দুবাই প্রবাসী বকুল প্রামাণিকের স্ত্রী নাজমা ওরফে নারগিসের (৩৬) অগ্নিদগ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ৫ মে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আইলচারা ইউনিয়নের নাজিরপুরে দুই পরে সংঘর্ষে দুই ব্যক্তি নিহত হয়। নিহতরা হচ্ছেন-জালাল মোল্লা (৫০) ও মন্টু মোল্লা (৩৫)। ৬ মে কুষ্টিয়া ইবি থানার হরিণারায়রপুরে নিউ জনসেবা ক্লিনিকে টুম্পা খাতুন (২৫) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর হয়।
সে ইবি থানার হরিণারায়নপুর ইউনিয়নের বেড়-বাড়াদী গ্রামের খোকন শেখের স্ত্রী। ২২ মে কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার মজমপুর ইউনিয়নের নছিমন মোড় এলাকায় পলি খাতুন (১৪) নামে এক নববধূকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। সে ওই এলাকার মতিয়ারের স্ত্রী। ২৫ মে মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া গ্রামে আখি খাতুন (২৪) নামে এক নববধূর মুখে বিষ ডেলে হত্যা করা হয়। সে ওই গ্রামের শিপন আলীর স্ত্রী। ২৫ মে একই দিন খোকসা উপজেলার জানিপুর ইউনিয়নের চরবিহারিয়া মাঠে শফিকুল ইসলাম (২২) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে রাজবাড়ী উপজেলার পালেরডাঙ্গী গ্রামের মৃত হোসেন আলী মন্ডলের ছেলে। ২৬ মে মিরপুরে অজ্ঞাত নবজাতকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মিরপুর পৌর সভার ৯নং ওয়ার্ড খন্দকবাড়ীয়া তহশীল অফিসের পাশ্ব থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। ২৭ মে দৌলতপুরে উপজেলার দাঁড়েরপাড়া মাঠ থেকে ফিরোজ আল মামুন (২৫) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে উপজেলার খলিশাকুন্ডি ইউনিয়নের নজীবপুর গ্রামের কেরামত আলীর ছেলে। ২৭ মে একই দিন মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের ভূট্টা ক্ষেত থেকে আজাদ (১১) নামে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আজাদ ওই গ্রামের দুলাল হোসেনের ছেলে।
২৯ মে কুমারখালী উপজেলার পল্লী নন্দনালপুর গ্রামের টুম্পা বসু (২৪) নামে এক নববধুকে মুখে বিষ ঢেলে হত্যা করা হয়। নিহত টুম্পা উপজেলার নন্দনালপুর গ্রামের সুকুমার ঘোষের স্ত্রী। ৭ জুন কুমারখালি উপজেলা শিলাইদহ ইউনিয়নের মির্জপুর গ্রামে ঝর্ণা খাতুন (২২) নামে এক গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যা করে তার স্বামী। ৮ জুন দৌলতপুর উপজেলার গোয়াল গ্রাম এলাকা থেকে রেবেকা খাতুন (৩০) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
সে উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের গোয়ালগ্রাম বাজারপাড়া এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের দ্বিতীয় স্ত্রী। ৯ জুন মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের বেশিনগর গ্রামে সীমা খাতুন (২৫) নামে এক গৃহবধু স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন হয়। সে বেশিনগর গ্রামের জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী। ৯ জুন একই দিন মিরপুর উপজেলার উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের বেশিনগর গ্রামে চোর সন্দেহে স্থানীয়দের গণপিটুনিতে হজতুল্লাহ (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়। সে উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের বেশিনগর গ্রামের মৃত জহুরুল ইসলামের ছেলে।
১২ জুন মাত্র ২৫ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের চর নওদাপাড়া এলাকার মমতাজ খাতুন (২২) নামে এক সন্তানের জননীকে গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। সে উপজেলার চর নওদাপাড়া গ্রামের মিন্টু মিয়ার স্ত্রী। ১৩ জুন কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার জিয়ারখীতে মাসুদা বেগম (২৭) এক চাতাল শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মাসুদা বেগম সদর উপজেলার বড়িয়া ভাদালিয়া পাড়ার আরব আলীর মেয়ে।
১৩ জুন একই দিন শহরের ঝাউতলা গলিতে মনিরুল ইসলাম (৩৬) নামে এক বাসের সুপার ভাইজার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মনিরুল জুগিয়ার স্কুলপাড়ার মৃত লুৎফরের ছেলে। ১৬ জুন ভেড়ামারায় ছুরিকাঘাতে শ্যামল (৩২) নামে এক ট্রাকচালককে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহত ট্রাকচালক ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানার কবিরপুর গ্রামের বিমল কু-ুর ছেলে। ২৪ জুন খোকসা উপজেলার জানিপুর ইউনিয়নের শেখপাড়া বিহারিয়া গ্রামে পাওনা মজুরি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে আবু তালেব (৫৫) ও খেরো আলী (৪৫) নামে দুই ব্যক্তি খুন হয়। নিহত আবু তালেব খোকসা জানিপুর বিহারি গ্রামের সাদেক শেখের ছেলে এবং খেরো আলী একই গ্রামের আতাহার আলীর ছেলে।
২৬ জুন দৌলতপুর উপজেলায় সোনা সর্দার (৪০) নামে এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের লালনগর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সোনা দৌলতপুর ইউসুফপুর গ্রামের খোকা সর্দারের ছেলে। ১ জুলাই কুষ্টিয়ায় আরিশা খাতুন (৭) নামের এক শিশু কণ্যাকে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে তার পাষন্ড মা। শহরের কোর্টপাড়ার মীর মোশাররফ হোসেন সড়কের ভাড়া বাড়ীর তিন তলায় একটি ক থেকে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
২ জুলাই দৌলতপুরে হবিবর রহমান (৫২) নামে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যা করে দূর্বৃত্তরা। উপজেলার দরিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হবিবর রহমান দৌলতপুর উপজেলার দরিপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে। ৬ জুলাই কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ঝাউদিয়া শাহী মসজিদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পরে সংঘর্ষে আব্দুল হালিম (৩৫) নামে একজন নিহত হয়। নিহত আব্দুল হালিম ঝাউদিয়া গ্রামের আকবর আলীর ছেলে। ৯ জুলাই মিরপুরে অজ্ঞাত পরিচয়ে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
উপজেলার বারইপাড়া ইউনিয়নের আমকাঁঠালিয়া মাঠের জিকে ক্যানাল সংলগ্ন পুকুরপাড় থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। ১৩ জুলাই কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের আদাবাড়িয়া গ্রামের রাশেদুল ইসলাম (৪২) নামে এক কৃষককে অপহরণের পর গলাকেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
নিহত রাশেদ কুমারখালী উপজেলার আদাবাড়িয়া গ্রামের মসলেম শেখের ছেলে। ১৫ জুলাই মিরপুর উপজেলার হালসা জবেদ মোড়ে সবুজ আহমেদ (১৮) ও আল মুকিত তরুন (২০) নামে দুই শিবির কর্মীকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পিটিয়ে হত্যা করে। নিহত আল মুকিত তরুন উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের বামনগাড়ী গ্রামের শফিউল আলমের ছেলে এবং সবুজ আহমেদ একই উপজেলার হালসা গ্রামের খবির উদ্দিনের ছেলে।
১৬ জুলাই দৌলতপুর উপজেলার হোগলাবাড়িয়া ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামে যৌতুকে পাওয়া গরু বিক্রি করে দেয়ায় কামাল হোসেন (৩০) নামে এক জামাইকে হত্যা করে তার শ্বশুর। সে উপজেলার কল্যাণপুর গ্রামের আসালত হোসেনের ছেলে। ১৭ জুলাই কুষ্টিয়ার হাজরা ইউনিয়নের উত্তর শ্যামপুর গ্রামের পাটতে থেকে নজরুল ইসলাম (২৮) নামে এক যুবকের মস্তকবিহীন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নজরুল ইসলার পাশ্ববর্তী রাজবাড়ী জেলার কালুখালী থানার মদাপুর গ্রামের সজির উদ্দিন শেখের ছেলে।
২১ জুলাই কুষ্টিয়ার পূর্ব মজমপুরে শারমিন আক্তার (৩৪) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। শারমিন ও তার স্বামী মজমপুরে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। ২২ জুলাই কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানার পাটিকাবাড়ী ইউনিয়নের খেজুরতলা গ্রামে নাছিমা খাতুন (২০) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত নাসিমা খেজুরতলা গ্রামে সোহেলের স্ত্রী।
২৩ জুলাই দৌলতপুর উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের আদাবাড়িয়া গ্রামে ছাপাতননেছা ছাপাকে (৫৫) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার স্বামী। ২৫ জুলাই দৌলতপুর উপজেলার ভাগজোত কাষ্টমমোড় এলাকায় রজুফা খাতুন (৫০) নামে স্বামী পরিত্যক্তা এক গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ১ আগষ্ট মিরপুরে নয়ন আহমেদ (১৮) নামে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উপজেলার আমলা ফার্মরোডের কাছে একটি পুকুরের পাশ মধ্যে থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত নয়ন উপজেলার আমলা ইউনিয়নের খয়েরপুর গ্রামের মৃত বাহার উদ্দিনের ছেলে। ১১ আগষ্ট মিরপুরে রিমা (২৫) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রিমা উপজেলার মির্জানগর এলাকার মাহিদুল ইসলামের স্ত্রী। ১১ আগষ্ট একই দিন দৌলতপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে রমজান আলী কারিগর (৫১) নামে জামাইয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের গড়ুড়া গ্রামের শ্বশুর আতর আলীর বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত রমজান আলী ভেড়ামারা উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের মৃত করিম কারিগরের ছেলে। ১৩ আগষ্ট দৌলতপুর উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের আদাবাড়িয়া মাঠ থেকে সাইদুল ইসলাম (২৮) নামে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সাইদুল একই গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে। ১৫ আগষ্ট খোকসার গড়াই নদীতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তির গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
১৬ আগষ্ট কুষ্টিয়া শহরতলী বাড়াদী ভাগাড়ের মাঠ এলাকায় রিংকু খাতুন (২৪) নামের এক গৃহবধূকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়। সে ওই এলাকার রাকিবুলের স্ত্রী। ১৭ আগষ্ট কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কমলাপুরে কুলসন বেগম (৩৫) নামের এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে ওই এলাকার আজিবার শেখের স্ত্রী। ১৮ আগষ্ট দৌলতপুরে আরিফ হোসেন (৩৫) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের বিলবোয়ালিয়া গ্রামের মাঠ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আরিফ হোসেন উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের বিলবোয়ালিয়া গ্রামের মৃত আব্দুস ছাত্তারের ছেলে। ২৪ আগষ্ট ভেড়ামারায় দুই পরে মধ্যে সংঘর্ষে খাইরুল ইসলাম (৪৫) নামের এক ট্রলি চালক খুন হয়। নিহত খাইরুল উপজেলার দনি ভবানীপুর গ্রামের তালিমুদ্দীনের ছেলে। ২৯ আগষ্ট ভেড়ামারায় সোনা মিয়া (৩২) নামে এক সিএনজি চালকে অটোরিকশা ছিনতাই করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহত সোনা মিয়া ভেড়ামারা উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে। ৭ সেপ্টেম্বর দৌলতপুরে ছোট দুই ভাইয়ের হাসুয়ার আঘাতে বড় ভাই খুন হয়। উপজেলার শান্তিপাড়া গ্রামের মোশাররফ হোসেনের দুই ছেলের হাতে সোহেল (৩৮) নামে ওই ব্যক্তি খুন হয়।
৯ সেপ্টেম্বর দৌলতপুর সীমান্তে বজলুর রশীদ (৪৩) নামে এক বাংলাদেশি কৃষককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মহাম্মদপুর সীমান্তের ১৫৭-১ (এস) পিলারের কাছে তাকে হত্যা করা হয়। ৯ সেপ্টেম্বর একই দিন দৌলতপুরে খবির মোল্লা (৫২) নামে এক কৃষকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে দুর্বত্তরা। উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়নের দিঘলকান্দির মরিচের ক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
১০ সেপ্টেম্বর দৌলতপুরে দেবরের রামদার কোপে ভাবী কোহিনুর খাতুন (৩৪) নিহত হয়। উপজেলার শান্তিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কোহিনুর শান্তিপাড়া গ্রামের সোহেলের স্ত্রী। ১৭ সেপ্টেম্বর খোকসা উপজেলার গড়াই নদীতে অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উপজেলার বেতবাড়িয়া হাওড়ের কাছ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। ২২ সেপ্টেম্বর ভেড়ামারায় মাত্র ৪ টাকার জন্য পিতার থাপ্পড়ে সিদাম হলদার (১০) নামের তৃতীয় শ্রেনীতে পড়–য়া এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়।
সে ভেড়ামারা উপজেলার কাঠেরপুল এলাকার ভোলানাথ হলদারের ছেলে। ২২ সেপ্টেম্ব^র একই দিন খোকসায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে চরপপন্থী সংগঠন গণমুক্তিফৌজের আঞ্চলিক নেতা ও বাহিনী প্রধান ফজলুর রহমান ফজু (৩৫) নিহত হয়। উপজেলার উথুলিয়া ব্রিজের কাছে এ বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ফজলু কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা গ্রামের ফয়জুদ্দিনের ছেলে। ২৫ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বারখাদা ইউনিয়নের ত্রিমোহনি এলাকায় অপহরণের তিন দিন পর অনিক (৪) নামে এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত অনিক কুষ্টিয়া ভেড়ামারা উপজেলার চর গোলাপনগর গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে।
২৫ সেপ্টেম্বর একই দিন কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ সড়কের বেলঘরিয়া থেকে শাজাহান ফরাজী (৪৫) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত শাজাহান সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের স্বস্তিপুর গ্রামের মৃত খোকা ফরাজীর ছেলে। ৩ অক্টোবর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় নূরুল ইসলাম (৩২) নামে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ইবি থানার হরিনারায়ণ বাজার সংলগ্ন কালী নদীতে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত নুরুল কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত মতিয়ার শাহের ছেলে।
৩ অক্টোবর একইদিন দৌলতপুরে আদিল উদ্দিন সর্দার (৭০) নামে এক বৃদ্ধকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আদিল উপজেলার শেরপুর গ্রামের মৃত গফুর সর্দ্দারের ছেলে।
৯ অক্টোবর কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ধর্ষণের পর রুকসানারা খাতুন (২২) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করে তার খালাতো ভাই। উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের গুলাবাড়ি গ্রামে এঘটনা ঘটে। ১১ অক্টোবর দৌলতপুরে ফেনসিডিলসহ আব্দুল্লাহ (৪৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আব্দুলাহ পার্শ্ববর্তী মিরপুর উপজেলার কচুবাড়িয়া গ্রামের ইয়াছিন চৌকিদারের ছেলে।
১৬ অক্টোবর মিরপুরে ঈদের দিন শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসে জহুরুল ইসলাম জয় (৪৪) নামে এক ব্যক্তি খুন হয়। উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের চারমাইলে শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। জয় কুষ্টিয়া শহরের কমলাপুর এলাকার মৃত শফি উদ্দিন শেখের ছেলে। ১৮ অক্টোবর ভেড়ামারায় উপজেলার সাতবাড়িয়া দনি ভবানীপুর গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে আমেনা বেগম (৩৫) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার স্বামী। আমেনা উপজেলার সাতবাড়িয়া দণি ভবানিপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিন মন্ডল স্ত্রী।
১৯ অক্টোবর দৌলতপুরে পারিবারিক বিরোধ নিয়ে চাচাতো বড় ভাইয়ের লাঠির আঘাতে মান্নান (২৪) নামে তার ছোট ভাই খুন হয়। উপজেলার তেলিগাংদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মান্নান রিফায়েতপুর ইউনিয়নের তেলিগাংদিয়া গ্রামের আবুর ছেলে। ২০ অক্টোবর দৌলতপুরে মাথা ভাঙ্গা নদী থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ে (২৪) এক যুবকের ভাসমান লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের মহিষকুন্ডি মাঠপাড়া ছাইতিনতলার নিকট মাথা ভাঙ্গা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
২৩ অক্টোবর কুমারখালীতে আতিয়ার লস্কর (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে জবাই করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের ধরমপাড়া মাঠ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আতিয়ার লস্কর উপজেলার দণি ভবানীপুর গ্রামের মতলেব লস্করের ছেলে। ২৪ অক্টোবর কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার শান্তিডাঙ্গা থেকে আব্দুল হালিম (৩২) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আব্দুল হালিম সদর উপজেলার শান্তিডাঙ্গা গ্রামের গনজের মুন্সীর ছেলে।
৭ নভেম্বর কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশহরিপুরে মানিক (১৯) নামের এক যুবককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। নিহত মানিক হরিপুর গ্রামের গোরস্তান পাড়া এলাকার আফজাল হোসেনের ছেলে। ১১ নভেম্বর কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জগতি থেকে নিখোঁজের দু’দিন পর শাখাওয়াত হোসেন (৬০) নামে এক মুক্তিযোদ্ধার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের বাড়ী কুমারখালী উপজেলার ধলনগর গ্রামে। ১১ নভেম্বর কুমারখালীতে সাদ্দাম হোসেন নামে (৮) এক শিশুকে তার বন্ধুরা কুপিয়ে হত্যা করে।
উপজেলার শিলাইদাহ ইউনিয়নের কসবা গ্রামের খেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে। সাদ্দাম একই গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে। ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জগতি নিখিল পাড়ায় ঝড়না খাতুন (২৪) নামে এক গৃহবধূকে হত্যা করা হয়। সে নিখিল পাড়া গ্রামের নয়ন মুন্সির স্ত্রী। ১৫ নভেম্বর খোকসায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আশা (১৩) নামের এক স্কুল ছাত্র নিহত হয়। সে উপজেলার কালিবাড়িপাড়া গ্রামের হাকিমের ছেলে।
১৭ নভেম্বর দৌলতপুরে পুলিশ হেফাজতে জাকির সাদিক (২২) নামে এক মাদক সেবনকারীর মৃত্যু হয়। জাকির সাদিক উপজেলার চরপ্রাগপুর গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে। ১৭ নভেম্বর একই দিন কুমারখালির গড়াই নদী থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উপজেলার এমএন মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন গড়াই নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ২৪ নভেম্বর কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের দহকোলায় প্রতিপরে হামলায় রাজ্জাক মন্ডল (৫০) নামে ব্যক্তি নিহত হয়।
নিহত রাজ্জাক মন্ডল দহকোলার মন্ডলপাড়ার মৃত আফসার মন্ডলের ছেলে। ২৫ নভেম্ব^র ভেড়ামারা রেল স্টেশনের উত্তর কেবিন সংলগ্ন রেল লাইনের পাশ থেকে লালন (৫২) নামে এক সাধুর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ৫ ডিসেম্বর কুমারখালীতে অজ্ঞাত পরিচয় (১৮) এক যুবতীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উপজেলার সদকী ইউনিয়নের মহিষাখোলা গ্রামের একটি মেহগুনী বাগান থেকে এ মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
৮ ডিসেম্বর কুমারখালি উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের একাধিকবার নির্বাচিত জনপ্রিয় চেয়ারম্যান মুন্সী রশিদুর রহমানকে (৪৫) প্রকাশ্য গুলি করে হত্যা করে দুবৃর্ত্তরা। উপজেলার মহেন্দ্রপুর বাজারে এ হত্যাকান্ডে ঘটনা ঘটে। ১৪ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ায় জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও চেম্বার অব কর্মাস ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক নুর হোসেন দুলালকে (৪৫) গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। শহরের হাউজিং এলাকার সি/২৪ ব্লকে তার নিজ বাসার সামনে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ১৭ ডিসেম্বর দৌলতপুরে রেখা খাতুন (৪২) নামে এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
উপজেলার থানার পাশের একটি মাঠ থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। সে উপজেলার শিতলাইপাড়া গ্রামের রুস্তম আলীর স্ত্রী। ১৭ ডিসেম্বর একই দিন দৌলতপুর সীমান্তের পদ্মা নদী থেকে নাইবুল ইসলাম (২২) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার হয়। সে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের গড়েরপাড়া এলাকার মোহাম্মদ গড়ের ছেলে। ১৮ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার খলিশাকুন্ডি ইউনিয়নের মালিপাড়া গ্রামে নিয়ামত আলী (৪৭) নামে এক কৃষকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিয়ামত আলী মালিপাড়া গ্রামের মৃত কেরামত আলীর ছেলে। সর্বশেষ গত ৩১ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ায় রাকিবুল ইসলাম (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার শিবপুর কবরস্থানের কাছে হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত রাকিবুল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার হরিনারায়ণপুর ইউনিয়নের বেল বাড়াদি গ্রামের দুবাই প্রবাসী রিয়াজুল হকের ছেলে।