ডমুরিয়াখুলনা: দুর্বৃত্তরা শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার ধামালিয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করেছে ।

অপরদিকে এ হত্যা কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সোহান ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন। ঘটনার সময়ে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি ও বোমা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে টোলনাস্থ তার নিজ বাড়িতে গুলি করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

এদিকে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রাত পৌনে ১২টার দিকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাড়িতে ফেরেন। এ সময়ে কতিপয় ব্যক্তি তার সঙ্গে কথা আছে বলে ঘরের বাইরে আসতে বলেন।

তিনি ঘরের বাইরে গেলে খুব কাছে থেকে তার শরীরে গুলি করে অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা। তার চিৎকার ও গুলির শব্দে প্রতিবেশিরা ছুটে আসেন। তারা সোহান নামে এক অস্ত্রধারীকে ধরে ফেলেন। তাকে রঘুনাথপুর ক্যাম্প পুলিশে দেয়া হয়।

ডুমুরিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন আজকের বাংলাদেশ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, হত্যাকারী সোহান পুলিশের নিকট স্বীকার করে তার অন্য সহযোগিরা শাহপুর নাপিতের মাঠের পাশে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থান করছে। তার কথামত পুলিশ নাপিতের মাঠে অভিযান চালায়।

এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি করে। এ সময়ে সোহান পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে এলোপাতাড়ি গুলির মধ্যে পড়ে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে পুলিশ ডুমুরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। এ সময়ে পুলিশের দুই সদস্য আল মামুন ও ইসরাফিল আহত হন। তারা খুলনা জেলা পুলিশ পুলিশ হাসপাতালে চিহিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি পিস্তল, ২টি দেশীয় সার্টারগান, কয়েক রাউন্ড গুলি, ৪টি হাতবোমা উদ্ধার করে বলে জানান ওসি।

প্রসঙ্গত, ধামালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা মোল্লা আবু জাফর সাময়িক বহিষ্কার হলে শহিদুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আওয়ামী লীগের ধামালিয়া ইউনিয়ন শাখার নেতা। বর্তমানে জাফর আত্মগোপনে রয়েছেন।