pmদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৬৯তম জন্মদিন। ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের অনুরোধে প্রধানমন্ত্রী তার ৬৯তম জন্মদিন এবার ওয়াশিংটনেই ছেলে-মেয়ে ও নাতি-নাতনিদের সান্নিধ্যে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

জাতিসংঘের ৭১তম সাধারণ অধিবেশনে অংশগ্রহণ শেষে নিউইয়র্ক থেকে সড়কপথে গত ২২ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াশিংটনে পৌঁছান এবং তার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়ের বাসায় যান।

আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর রবিবার দেশে ফেরার কথা থাকলেও ছেলে-মেয়ে ও নাতি-নাতনিদের অনুরোধে প্রধানমন্ত্রী তার ৬৯তম জন্মদিন ওয়াশিংটনেই উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবদুস সোবহান গোলাপ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর বৃহষ্পতিবার দেশের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ত্যাগ করবেন এবং ৩০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দেশে পৌঁছাবেন। এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওয়াশিংটনে অবস্থানকে কেন্দ্র করে বৃহত্তর আওয়ামী পরিবারের মধ্যে আনন্দ-উল্লাস লক্ষ করা গেছে। দীর্ঘ প্রায় আট বছর পর নেতাকে কাছে সবাই উল্লসিত।

এ বিষয়ে ভার্জিনিয়া স্টেট আওয়ামী লীগ সভাপতি রফিক পারভেজ বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা এক বিশ্বনন্দিত নেতা। নেত্রীকে এক নজর দেখার জন্য পুরো ওয়াশিংটনবাসী উন্মুখ হয়ে আছে। ওয়াশিংটনে নেত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য পুরো বৃহত্তর ওয়াশিংটন আওয়ামী পরিবার সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। শুধুমাত্র নেত্রীর সম্মতির অপেক্ষা।’ রফিক পারভেজ বলেন, ‘২৪ তারিখ শনিবার নেত্রী ওয়াশিংটনে নেতাকর্মীদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন। সেখানেই নেত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগ সভাপতি সাদেক খান বলেন, ‘সভাপতির ওয়াশিংটন আগমনে আমরা সবাই উল্লসিত। ওয়াশিংটনে অবস্থানকালে নেত্রী তার পরিবারের সাথে সময় কাটাবার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তার প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে। কিন্তু তারপরেও আমরা অনুরোধ জানিয়েছি, ওয়াশিংটনে নেত্রীর সংবর্ধনা সভার আয়োজন করার। সব আয়োজন আমরা সম্পন্ন করে রেখেছি। এখন শুধু নেত্রীর সম্মতির অপেক্ষা।’

উল্লেখ্য, লন্ডন, কানাডা এবং সর্বশেষ জাতিসংঘে চার দিনের লাগাতার কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের পর ২২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক থেকে সড়কপথে ওয়াশিংটনে এসে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওয়াশিংটন অবস্থানকালে কোনও সভা-সমাবেশে অংশ নেবেন না বলে সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু নেতাকর্মীদের অনুরোধে শনিবার নেতাকর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

এ বিষয়ে মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর সোহেল জানান, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে আমরা মিলিত হওয়ার অপেক্ষায় আছি। বিশ্বনন্দিত নেতা শেখ হাসিনার এবারের জাতিসংঘ সফরে বাংলাদেশের বিরাট স্বীকৃতি মিলেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল কারিগর বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ও অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।

এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও নারীর ক্ষমতায়নে বিস্ময়কার অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে আরেকটি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে। এই অর্জনের জন্য শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যত কাণ্ডারী জয়কে প্রবাসীরা ব্যাপক আয়োজনে বরণ করতে আগ্রহী। এখন পর্যন্ত আমরা সে অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছি।