hanif-awaদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা : আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, পাকিস্তানি এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী বিরোধী দল, জঙ্গিবাদ, দারিদ্র্যতার সঙ্গে লড়াই করে দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী নিয়ে বিশ্বে উন্নয়নের নজির সৃষ্টি করেছেন শেখ হাসিনা। সুতরাং তার সঙ্গে কারো তুলনা চলে না।

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস (১০ জানুয়ারি) পালন উপলক্ষে শনিবার (৭ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণ আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর গুলিস্তানের মহানগর নাট্যমঞ্চ মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

হানিফ বলেন, ‘জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল বিশ্বের দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি, শেখ হাসিনা দশম। জার্মানিতে বেগম খালেদা জিয়ার মতো রাষ্ট্রস্বার্থ বিরোধী নেত্রী নেই।

বিশালায়তনের রাষ্ট্রে সুশিক্ষায় শিক্ষিত কম জনগোষ্ঠী নিয়ে অ্যাঞ্জেলা মার্কেল এগিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের দেশের চিত্রটা ভিন্ন। আমি মনে করি ক্ষমতা, দক্ষতা, প্রাজ্ঞতা ও সৃজনশীলতার বিবেচনায় শেখ হাসিনা অ্যাঞ্জেলা মার্কেলেরও উপরে।’

৫ জানুয়ারি গণতন্ত্রের কালো দিবস বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের এমন বক্তব্যের জবাবে হানিফ বলেন, ‘৫ জানুয়ারি যদি নির্বাচন না হতো তাহলে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হতো। আর এই সুযোগে অশুভ শক্তি ক্ষমতায় আসার সুযোগ পেত। বিএনপি কী তা প্রত্যাশা করেছিল?’

জামায়াতে ইসলামের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় জামায়াত নির্বাচনে অংশ নিতে পারছিল না বলেই বিএনপি তাদের (জামায়াত) ছাড়া নির্বাচনে আসেনি। সুতরাং এর জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করে লাভ নেই।’

সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন- যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ।
ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বক্তব্য প্রদান করেন মহানগরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

এদিকে শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘মানুষ হত্যাকারী, বোমাবাজ, আগুন সন্ত্রাসী বিএনপি জামায়াত নেতাদের বিচারের’ দাবিতে সমাবেশ ও মানববন্ধনে করে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আগামী ৫ জানুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে থাকতে হতে পারে।

তিনি বলেন, ‘৫ জানুয়ারিকে বিএনপি গণতন্ত্র হত্যা দিবস বলে। আর এবার সেই দিনই বিএনপি নেত্রী কোর্টে গিয়ে হাজিরা দিয়েছেন। আগামী ৫ জানুয়ারি তাকে (খালেদা জিয়া) কারাগারেও থাকতে হতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৩, ১৪ ও ১৫ পর্যন্ত আন্দোলনের নামে যেভাবে পেট্রোল বোমা, বাসে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করা হয়েছে, মানুষকে পঙ্গু করা হয়েছে রাজনীতির নামে এই ধরনের হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর কোথাও হয়নি। এখনো হচ্ছে না।’

তাই সেই সময় যারা এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল ন্যায় বিচারের স্বার্থে তাদের বিচার হওয়া উচিত। তাই সরকারের কাছে আমি অনুরোধ করব বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে পেট্রোল বোমা মেরে যারা মানুষ হত্যা করেছিল তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হোক যোগ করেন তিনি।

‘৫ জানুয়ারি নির্বাচন না হলে দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকত না। বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় থাকত না। আর বিএনপি এখন যেসব কর্মসূচি পালন করছে সেগুলোও তারা পালন করতে পারত না’ যোগ করেন তিনি।

সমাবেশ ও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, আওয়ামী লীগ নেতা এমএ করীমসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।