দেশ প্রতিক্ষণ, বরিশাল: আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে অংশ নিতে ঢাকা আসছেন বরিশাল জেলা ও মহানগরের প্রায় ১১ হাজার নেতাকর্মী। বিশালাকার লঞ্চ রিজার্ভ করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকার উদ্দেশে বরিশাল নদী বন্দর ত্যাগ করেছেন নেতাকর্মীরা। প্রায় ১১ হাজার নেতাকর্মী সম্মেলনে অংশ নিলেও দুই দিনব্যাপী কাউন্সিলের শেষ দিন ২১ ডিসেম্বর মূল অধিবেশনে অংশ নেবেন বরিশাল জেলা ও মহানগরীর ১২৬ জন কাউন্সিলর।

জেলায় ঢাউস সাইজের এবং মহানগরীতে সদ্য অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে শুধুমাত্র সভাপতি ও সম্পাদক নির্বাচিত হলেও জনসংখ্যার ভিত্তিতে জেলায় ১০৮ জন এবং মহানগরীর মাত্র ১৮ জন কাউন্সিলর নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি তালুকদার মো. ইউনুস এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট গোলাম সরোয়ার রাজিব জানান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে অংশ নেবে জেলা ও মহানগরীর প্রায় ১১ হাজার ডেলিগেট এবং কাউন্সিলর। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তারা ৪টি রিজার্ভ লঞ্চে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবেন। শুক্রবার কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের প্রথম অধিবেশনে অংশগ্রহণ করবেন তারা সবাই। ওই দিনই রিজার্ভ লঞ্চে আবার ডেলিগেট নেতাকর্মীরা ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন। কাউন্সিলের দ্বিতীয় দিন শনিবার মূল অধিবেশনে অংশ নেবেন মহানগরীর ১৮জন কাউন্সিলর।

জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস জানান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে অংশ নিতে আগ্রহী অনেক নেতাকর্মী। সবাইকে ঢাকা নেয়া যাচ্ছে না। তারপরও জেলা ও জেলার ১০ উপজেলা এবং মহানগরী মিলিয়ে প্রায় ১৬ হাজার নেতাকর্মী গেলিগেট অংশ নেবে কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের প্রথম দিনের অধিবেশনে। দ্বিতীয় দিন ২১ ডিসেম্বর জেলার ১০৮জন কাউন্সিলর অংশ নেবে মূল অধিবেশনে।

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর জানান, ২৫ হাজার জনসংখ্যার বিপরীতে একজন করে কাউন্সিলর নির্ধারণ করা হয়েছে। সে হিসেবে মহানগরীর ১৮জন এবং জেলা থেকে ১০৮জন কাউন্সিলর অংশ নেবে কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের মূল অধিবেশনে।

সম্মেলনে অংশ নিতে যাওয়া ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা নেতারা জানান, ৪টি লঞ্চ প্রাথমিকভাবে রিজার্ভ করা হয়েছে ঢাকার কাউন্সিলে যাওয়ার জন্য। নেতাকর্মীদের ভীড় বেশি হলে কিংবা ৪টি লঞ্চে স্থান সংকুলান না হলে তাৎক্ষণিক আরও লঞ্চের ব্যবস্থা করা হবে। লঞ্চে রাতে তাদের থাকা-খাওয়া, পরদিন সকাল-দুপুর এবং রাতের খাবারেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে আয়োজকদের পক্ষ থেকে। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে যাওয়া-আসাসহ যাবতীয় সব কিছু তদারক করছেন বলে জানিয়েছেন ব্যবস্থাপনা দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা।