দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: প্রাণঘাতী করোনো আঘাত হেনেছে গোটা বিশ্বের অর্থনীতিসহ সর্বক্ষেত্রে। ব্যতিক্রম ঘটেনি বিশ্ব শেয়ারবাজারেও। করোনার আঘাতে বিশ্বব্যাপী শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন ঘটেছে। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি একেবারেই ভিন্ন। কারণ সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির পর থেকে চালুই হয়নি। ঠিক কবে শেয়ারবাজারের লেনদেন চালু হবে সেটিও নিশ্চিত নয়।ফলে শেয়ারবাজার খোলা নিয়ে দোটানায় পড়ছেন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। আসলে কবে শেয়ারবাজার চালু হবে তা ও নীতি নির্ধারকরা নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না।

আসলে দেশের পরিস্থিতি যদি আরও খারাপ হয় সেক্ষেত্রে কি আর এক মাস যদি বন্ধ থাকে তাহলে কি পুঁজিবাজার বন্ধ থাকবে এ প্রশ্ন এখন বিনিয়োগকারীদের মুখে মুখে। বিনিয়োগকারীদের প্রশ্ন বিএসইসি সব দিক থেকে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। দীর্ঘ বন্ধের পরও পুঁজিবাজারের দায়িত্ব কে নেবে এ প্রশ্ন এখন সবার।

এদিকে চলতি মাসের ১০ তারিখ থেকে পুঁজিবাজারে লেনদেন চালুর জন্য অনেকগুলো বিষয়ে ছাড় চেয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে আবেদন করেছিল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। কিন্তু কোরাম সংকটের কারণে বিএসইসির পক্ষে এ মুহূর্তে কমিশন সভার মাধ্যমে ছাড়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

এছাড়া সরকারি ছুটির এই সময়ে লেনদেন চালু করতে হলে জরুরি সেবার আওতায় পুঁজিবাজারও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, যা কমিশনের এখতিয়ারে নেই। তাই বিষয়টি নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দ্বারস্থ হয়েছে বিএসইসি। যদিও অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে পুঁজিবাজার চালুর এখতিয়ার বিএসইসির কাছেই। ফলে পুঁজিবাজার চালুর বিষয়ে কে সিদ্ধান্ত দেবে অর্থ মন্ত্রণালয় নাকি বিএসইসি সে প্রশ্ন উঠেছে।

অর্থনীতির চাকা ঠিক রাখতে ব্যাংকিং ব্যবস্থা সচল রাখা, তৈরি পোশাক কারখানা এবং ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে দোকানপাট ও শপিংমল চালুর সিদ্ধান্ত নিলেও পুঁজিবাজার চালুর উদ্যোগ নেই। যদিও প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদ সীমিত আকারে হলেও চালুর চেষ্টা নেয়। কিন্তু অবকাঠামোগত জটিলতা সেটিও চালু সম্ভব কিনা সেটিও যাচাই-বাছাইয়ের পর সেটি নিশ্চিত করার কথা রয়েছে। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সাধারণ ছুটির মধ্যে লেনদেন চালু রাখার পক্ষে নয় বলে নির্ভরশীল সূত্রে জানা গেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের (এফআইডি) কর্মকর্তারা বলছেন, পুঁজিবাজারে লেনদেন চালুর বিষয়ে ডিএসইর প্রস্তাবটি মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে বিএসইসি। এক্ষেত্রে আইনি ছাড়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয়ার এখতিয়ার বিএসইসির। পুঁজিবাজারকে জরুরি সেবার আওতায় আনা সম্ভব কিনা, সেটি মন্ত্রণালয় দেখছে। অন্তত স্বল্প সময়ের জন্য হলেও ঈদের আগে পুঁজিবাজার খোলার ব্যাপারে মন্ত্রণালয় ইতিবাচক। এতে যেসব বিও হিসাবে নগদ অর্থ জমা রয়েছে, বিনিয়োগকারীরা সে অর্থ তাদের প্রয়োজনে উত্তোলন করার সুযোগ পাবেন।

এ বিষয় জানতে চাইলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, আইনিভাবে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব বিএসইসির। ফলে পুঁজিবাজার চালুর বিষয়টি তাদের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে। পুঁজিবাজারকে জরুরি সেবার আওতাভুক্ত করার ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কোনো করণীয় রয়েছে কিনা, সেটি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এছাড়া সারা দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রামণ মোকাবিলায় সাধারণ ছুটির আওতায় পুঁজিবাজার বন্ধ রয়েছে। বেশ কয়েক দফায় আগামী ১৬ মে পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছে। এ পরিস্থিতিতেও সীমিত পরিসতে পুঁজিবাজারের লেনদেন চালু করতে চায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। এ জন্য বেশ কিছু শর্ত সাপেক্ষ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি’র কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। তবে বিএসইসিতে তিনটি কমিশনার পদ ফাঁকা থাকায় কোরাম সংকটের এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না বলে জানা গেছে।

এদিকে পুঁজিবাজারকে অপরিহার্য সেবার (অ্যাসেনশিয়াল সার্ভিস) আওতায় অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষমতা বিএসইসির হাতে নেই। সেটা কেবল প্রধানমন্ত্রীই অনুমতি দিতে পারেন। ফলে সার্বিক দিক বেচনায় পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের আগে ডিএসই’র লেনদেন চালু করা দাবিটিও ঝুলে যাচ্ছে।

তবে বুধবারে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাসের প্রকোপ মোকাবেলায় সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির কারণে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত ডিএসইর লেনদেন বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে স্যাটলমেন্টসহ সব অফিসিয়াল কার্যক্রম। বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ।

তবে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সাধারণ ছুটিতেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির অনুমতি সাপেক্ষে আগামী ১০ মে লেনদেন চালুর জন্য তাদের প্রস্তুতি রয়েছে। ইতোমধ্যে অনুমতি চেয়ে বিএসইসির কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। যদি অনুমোদন পাওয়া যায় তাহলে স্টক এক্সচেঞ্জের ছুটি বাতিল করা হবে। চালু করা হবে লেনদেন, স্যাটলমেন্টসহ সব কার্যক্রম।

করোনার আঘাতে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানের মতো রাষ্ট্রও অর্থনীতি সচল রাখতে শেয়ারবাজার চালু রেখেছে। তবে করোনা শুরুর দিকে ভারত ও পাকিস্তান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শেয়ারাবাজারের লেনদেন মাত্র আধাঘণ্টা বন্ধ ছিল। আর অস্বাভাবিক দরপতন রোধে ফিলিপিন্সে তিন দিন শেয়ারবাজার বন্ধ ছিল।

এরপর সেখানে শেয়ারবাজার খুলে দেয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশ ছাড়িয়ে গেল সব দেশকেই। এখানে ক্ষুদ্র ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের দুর্দশার শেষ রইল না। গত ২৬ মার্চ থেকেই সরকারী ছুটির সঙ্গে তাদের রুটি ও রুজির রাস্তা বন্ধ হয়। আজ অবধি সেই শেয়ারবাজার চালু হয়নি।

প্রতি বছরই ঈদের আগে পুঁজিবাজারে লেনদেনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এ সময় অনেক ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী শেয়ার বিক্রি করে অর্থ উত্তোলন করেন। কিন্তু বর্তমানে পুঁজিবাজার বন্ধ থাকায় অনেক বিনিয়োগকারী তাদের জরুরি প্রয়োজনেও শেয়ার বিক্রি করতে পারবেন না। তাছাড়া অনেক বিনিয়োগকারীর বিও হিসাবে নগদ অর্থও রয়েছে। পুঁজিবাজার বন্ধ থাকার কারণে এ অর্থও উত্তোলন করা সম্ভব হচ্ছে না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএসইসির একাধিক কর্মকর্তা জানান, সুনির্দিষ্ট কয়েকটি কারণে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরুর সুযোগ খুবই কম। প্রথমত সরকার সাধারণ ছুটির প্রজ্ঞাপনে যেসব খাতকে এর আওতার বাইরে রেখেছে সেখানে পুঁজিবাজারের উল্লেখ নেই। তাই ছুটির সঙ্গে মিল রেখে বাজার বন্ধ রাখাই সঙ্গত। এর বাইরে গিয়ে লেনদেন শুরু করতে হলে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের অনুমোদন চাইতে হবে।

এছাড়া ডিএসই বিদ্যমান আইনের যেসব শর্তে ছাড় চেয়েছে, সেগুলোর জন্য কমিশন বৈঠকের অনুমোদন প্রয়োজন। কিন্তু সংস্থার দু’জন কমিশনার ড. স্বপন কুমার বালা এবং প্রফেসর হেলাল উদ্দিন নিজামীর মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর ৪ মে থেকে আর কমিশন বৈঠকের সুযোগ নেই। কারণ বর্তমানে চেয়ারম্যানের বাইরে মাত্র একজন কমিশনার রয়েছেন। এছাড়া চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনের মেয়াদও শেষ হবে ১৪ মে। তাই ডিএসইর এই ছাড় প্রস্তাবে বর্তমান কমিশন রাজি নয়।

তৃতীয়ত দেশে করোনা পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। এতদিন বাজার বন্ধ থাকার পর এখন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে অল্প দিনের জন্য লেনদেন শুরুর বিষয়ে তাড়াহুড়া করার বিষয়টি মঙ্গলজনক নাও হতে পারে। সব মিলে ঈদের পর অফিস-আদালত খোলার আগে পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরুর সম্ভাবনা একেবারেই নেই বলে জানা গেছে।

বিএসইসির কর্মকর্তাদের মতে, সরকারী সাধারণ ছুটিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি, সিডিবিএল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া লেনদেন সম্পন্ন করার মতো প্রযুক্তির ঘাটতি রয়েছে। আঞ্চলিক লকডাউনের কারণে রাজধানীরই অনেক এলাকায় ব্রোকারেজ হাউসের শাখা খোলা সম্ভব নয়। একইভাবে শেয়ার কেনাবেচার পর সমন্বয় করাও কঠিন।

এদিকে গত রবিবারে শর্ত সাপেক্ষে আগামী ১০ মে শেয়ারবাজার লেনদেন চালু করার সম্মতি চেয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) চিঠি দেয় ডিএসই। কমিশনের চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনের কাছে চিঠি দেন ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সানাউল হক।

এই চিঠিতে ডিএসইর লেনদেন চালুর ক্ষেত্রে কিছু নীতিমালা প্রণয়ন ও আইনকানুন বিষয়ে অব্যাহতি চাওয়া হয়। এসবের মধ্যে শেয়ারবাজারকে অপরিহার্য সেবার (এসেনশিয়াল সার্ভিস) মধ্যে ঢোকানোর দাবি করা হয়। এছাড়া এই মুহূর্তে লেনদেন চালু হলেও উদ্যোক্তা/পরিচালকদের শেয়ার ট্রান্সফার, আইপিও, ব্রোকারেজ হাউসগুলো মনিটরিং ও কমপ্লায়েন্স, লাইসেন্স নবায়ন ইত্যাদি কাজ করা সম্ভব হবে না বলে জানানো হয়। যাতে এগুলো থেকে অব্যাহতি চেয়েছে।

এদিকে সীমাবদ্ধতার কারণে লেনদেন চালুর বিষয়ে এখনও স্টেকহোল্ডারদের লিখিত মতামত নিতে পারেনি ডিএসই। তবে তাদের সম্মতি নিয়েই লেনদেন চালু করা হবে বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে। অন্যথায় লেনদেন চালু করা হবে না। চিঠিতে জানানো হয়েছে, কমিশনের সম্মতির পরে লেনদেন চালু করতে ৩দিন সময় দিতে হবে। কারণ ডিএসইরও লেনদেন চালু করার জন্য প্রস্তুতির বিষয় আছে।

এদিকে ব্যাংকিং লেনদেন কার্যক্রম স্বল্পতার কারণে শেয়ারবাজারে ২ ঘণ্টার বেশি লেনদেন করা সম্ভব হবে না বলে কমিশনকে জানানো হয়েছে। এক্ষেত্রে অবশ্য চেক ক্লিয়ারিংয়ের জন্য ব্যাংকগুলোর সহযোগিতা চাওয়া হবে। চিঠিতে বলা হয়েছে, লেনদেন চালু হলেও এই মুহূর্তে সব সেবা দেয়া সম্ভব হবে না। কমিশনকে নানা বিষয়ে লিখিত কাগজের মাধ্যমে জানানো হয়। যা এখন সম্ভব হবে না।

মেলে পাঠানো হবে। এছাড়া সব নিউজ সরবরাহ করা সম্ভব হবে না। কারণ অনেক নিউজের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির কাছ থেকে কিছু বিষয় জেনে প্রকাশ করা দরকার পড়ে। কিন্তু ওই কোম্পানি বন্ধ থাকলে, জবাব কে দেবে। যাতে নিউজ সরবরাহ করা যাবে না।

ছুটিতে লেনদেন চালুর বিষয়ে ডিএসইর পরিচালক মোঃ রকিবুর রহমান বলেন, অর্থনীতির চাকা সচল, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আস্থা ধরে রাখা এবং লাখ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে শেয়ারবাজার সীমিত আকারে হলেও চালু রাখা জরুরী ছিল। সেইসঙ্গে বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ প্রণোদনার দরকার। কারণ দীর্ঘমেয়াদী পুঁজি সংগ্রহে শেয়ারবাজারের বিকল্প নেই। আর কোথাও করোনার কারণে শেয়ারবাজার বন্ধ রাখা হয়নি। একইসঙ্গে শেয়ারবাজারকে সাপোর্ট দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে সেটিও ব্যবহারের এখনই উৎকৃষ্ট সময় ছিল ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান বলেন, ডিএসইর পক্ষ থেকে অনেকগুলো বিষয়ে ছাড় চাওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে কমিশন সভার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কিন্তু বর্তমানে কোরাম না থাকার কারণে কমিশন সভা করা সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে লেনদেন চালু করতে হলে পুঁজিবাজারকে জরুরি সেবার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আর এটি কমিশনের এখতিয়ারবহির্ভূত বিষয়। ফলে সব মিলিয়ে এ মুহূর্তে ডিএসইর প্রস্তাবের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান তিনি।