দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদেরকে ডিভিডেন্ড দেয়নি লোকসানে জর্জরিত ‘জেড’ ক্যাটাগরির ৫ কোম্পানি। কোম্পানিগুলো হলো: জিলবাংলা সুগার, শ্যামপুর সুগার, সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ, মেঘনা পিইটি এবং মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক। কোম্পানিগুলো ডিভিডেন্ড না দিলেও এর মধ্যে ৩টি কোম্পানির শেয়ার অতি উচ্চ মূল্যে লেনদেন হচ্ছে। কোম্পানিগুলো হলো: জিলবাংলা সুগার, শ্যামপুর সুগার, সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দরে লেনদেন হচ্ছে জিলবাংলা সুগারের। ১৯৮৮ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটি এখনো পর্যন্ত কোনো ডিভিডেন্ড দেয়নি। কোম্পানিটির অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- ৫০ কোটি টাকা ও ৬ কোটি টাকা। কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ১১৯ টাকা ১০ পয়সা। বর্তমানে কোম্পানিটির পুঁঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ৪২৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। ধারাবাহিক লোকসানের কারণে কোম্পানিটির পিই রেশিও নেগেটিভ।

অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে: শ্যামপুর সুগার : ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটি এখনো পর্যন্ত কোনো ডিভিডেন্ড দেয়নি। কোম্পানিটির অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- ৫০ কোটি টাকা ও ৫ কোটি টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির পুঁঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ৪৯৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ৮২ টাকা ৩০ পয়সা। ধারাবাহিক লোকসানের কারণে কোম্পানিটির পিই রেশিও নেগেটিভ।

সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ : ১৯৮৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটি এখনো পর্যন্ত কোনো ডিভিডেন্ড দেয়নি। কোম্পানিটির অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- ৩০ কোটি টাকা ও ১ কোটি ৩৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির পুঁঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ৫২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ১৯২ টাকা ৬০ পয়সা। ধারাবাহিক লোকসানের কারণে কোম্পানিটির পিই রেশিও নেগেটিভ।

মেঘনা পেট : ২০০১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটি এখনো পর্যন্ত কোনো ডিভিডেন্ড দেয়নি। কোম্পানিটির অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- ৩০ কোটি টাকা ও ১২ কোটি টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির পুঁঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ১৭ কোটি ৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ১৯ টাকা ৩০ পয়সা। ধারাবাহিক লোকসানের কারণে কোম্পানিটির পিই রেশিও নেগেটিভ।

মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক : ২০০১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটি এখনো পর্যন্ত কোনো ডিভিডেন্ড দেয়নি। কোম্পানিটির অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- ৮০ কোটি টাকা ও ১৬ কোটি টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির পুঁঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ১১১ কোটি ২৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ১৪ টাকা ৯০ পয়সা। ধারাবাহিক লোকসানের কারণে কোম্পানিটির পিই রেশিও নেগেটিভ।