দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: শেখ হাসিনার সরকারকে হটাতে ডান-বাম এক হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত স্বেচ্ছাসেবক ও শৃঙ্খলা উপকমিটির প্রস্তুতি সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘যারা রাষ্ট্রকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে, তারা কী করে দেশের মেরামত করবে? দেশ মেরামত করেছেন শেখ হাসিনা। বিএনপির আমল থেকে এখন সবকিছু ভালো আছে। দেশের মধ্যে যা মেরামত করেছে তা আওয়ামী লীগই করছে।’

বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলনের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকারকে হটাতে ডান-বাম এক হয়েছে। প্রগতিশীল আর প্রতিক্রিয়াশীল একসঙ্গে হয়ে গেলে প্রগতিশীলতার কী থাকে?’ ‘বিএনপির ২০৩০ সালের যে ভিশনের ঘোষণা দিয়েছিল, সেই ভিশন বাস্তবায়ন কই? বিএনপি এমন কর্মসূচি দেবে আর খাই খাই করবে।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই। শৃঙ্খলা না থাকলে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব না। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শৃঙ্খলা রাখতে হবে। আওয়ামী লীগের সম্মেলন যেহেতু সাদামাটা হবে, সম্মেলন সাদামাটা হলেও সারা দেশ থেকে নেতাকর্মী আসা কমবে না। সম্মেলনে নেতাকর্মীর ঢল নামবে। তাই শৃঙ্খলাও আরও শক্তিশালী হতে হবে।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষ কষ্টে আছে, তা ভেবেই এবার সম্মেলনে সাজসজ্জা করা হয়নি। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে নিয়ে ভাবেন। দেশের মানুষের কথা ভেবেই এবারের সম্মেলনে সাদামাটাভাবে করা হচ্ছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সংকট থেকে এখন বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। এই সময় সবচেয়ে বেশির দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সামনে আরও চ্যালেঞ্জ আছে, সেগুলো অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ মূল্যস্ফীতি কমেছে। বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন ছিল কৃষক ও কৃষি, সেটাকেই এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কৃষির ওপর নির্ভর করেই বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করেছেন।’

স্বেচ্ছাসেবক ও শৃঙ্খলা উপকমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, স্বেচ্ছাসেবক ও শৃঙ্খলা উপকমিটির আহ্বায়ক সদস্য সচিব আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাহ উল হক সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুসহ বিভিন্ন নেতাকর্মীরা।