দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট খাতের কোম্পানি আরামিট সিমেন্ট লোকসানে ডুবেছে। লোকসান পরিমান এতো বেশি যে, কোম্পানিটির সুষ্ঠভাবে পরিচালন ব্যয় জোগান নিয়ে হুমকিতে পড়েছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানির একাধিক কর্মকর্তা। কোম্পানিটি সর্বশেষ দুই প্রান্তিক (জুলাই-ডিসেম্বর ২০২২ সাল) হিসেবে লোকসান পরিমান দাঁড়িয়েছে ২৬ কোটি টাকা।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে বা ৩ মাস (অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০২২ সাল) হিসেবে লোকসান পরিমান দাঁড়ায় ১৭ কোটি টাকা। কোম্পানির রিজার্ভে রয়েছে প্রায় ৩০ লাখ টাকা। এছাড়া কোম্পানিটিকে গুনতে হচ্ছে মোটা অংকের লোনের বোঝা। সবমিলিয়ে বেকায়দায় পড়েছে কোম্পানিটি। এমন অবস্থায় কোম্পানির প্রতিদিনের পরিচালন ব্যয় জোগাতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে জানান তারা।

এদিকে আরামিট সিমেন্টের দ্বিতীয় প্রান্তিক বা শেষ তিন মাস (অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০২২ সাল) হিসেবে লোকসান বেড়েছে ১৩৫ শতাংশ। আর দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাস (জুলাই-ডিসেম্বর ২০২২ সাল) হিসেবে লোকসান বেড়েছে ৮৭ শতাংশ। কোম্পানিটি দুই প্রান্তিকেই লোকসান বেশি গুনতে হয়েছে। যদিও আগের অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-ডিসেম্বর ২০২১ সাল) লোকসান কম ছিল। কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ সভায় সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশে এমন তথ্য বেরিয়ে আসে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে এ তথ্য জানা যায়।

আরামিট সিমেন্টের চলতি অর্থবছরের (২০২২-২০২৩) প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৭ দশমিক ৬৯ টাকা। যার পরিমাণ আগের অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-ডিসেম্বর) শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছিল ৪ দশমিক ১১ টাকা। এ হিসাবে লোকসান বেড়েছে ৩ দশমিক ৫৮ টাকা বা ৮৭ দশমিক ১০ শতাংশ।

কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ২য় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৫ দশমিক শূন্য ৫ টাকা। যার পরিমাণ আগের অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছিল ২ দশমিক ১৫ টাকা। এ হিসাবে লোকসান পরিমান বেড়েছে ২ দশমিক ৯০ টাকা বা ১৩৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ। ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৯৩ টাকায়।

আরামিট সিমেন্ট কোম্পানির সচিব সৈয়দ কামরুজ্জামান বলেন, ডলারের রেট অস্বাভাবিক বেড়েছে। আবার দীর্ঘদিন আমাদের এলসি বন্ধ থাকায় সিমেন্ট উৎপাদনের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল বিদেশ থেকে আনা যায়নি। এর ফলে লোকসান গুনতে হয়েছে। অনেক জটিলতা কাঁটিয়ে আরামিট সিমেন্ট উৎপাদনে নেমেছে। এরপরও কিছু সমস্যা রয়েছে, তাও দূর হবে। সামনে কোম্পানিটি ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।