রাকিবুল ইসলাম তনু, পটুয়াখালী : টুয়াখালীতে শহীদ মিনারের বেদীতে জুতা পায়ে নির্বাচনী প্রচারনার ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেখানে দেখা যায় দুমকি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দুমকি উপজেলা আওয়ামিলীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের। আগামী ১৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে লেবুখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন।

ওই নির্বাচনে একাধিক প্রার্থীর সঙ্গে নৌকার প্রতীক নিয়ে লড়াই করছেন দুমকী উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম তুহিন। ওই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী প্রচারনা চালাচ্ছেন প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা। এরই প্রেক্ষিতে গত রোববার(০৯ জুলাই) বিকাল ৫টায় লেবুখালী ইউনিয়নের আবুল হোসেন মেমোরিয়াল প্রি-ক্যাডেট স্কুলে প্রাঙ্গনের শহীদ মিনারের সামনে কাপড় টানিয়ে দিয়ে বেদীতে স্টেজ র্নিমান করেন আয়োজকরা।

নির্বাচনী প্রস্তুতির ওই সভায় অংশ নেন দুমকী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ড. হারুন আর রশীদ হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক মো.শাহজাহান আকন সেলিম আকন, পটুয়াখালী পৌরসভার প্যানেল মেয়র দেলোয়ার আকন, পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, অ্যাড. নজরুল ইসলাম এবং প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম তুহিনসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।

আয়োজিত অনুষ্ঠানের ছবিতে দেখা যায় শহীদ মিনারের সামনে একটি সাদা কাপর টানিয়ে বেদীতে স্টেজে করা হয়েছে এবং উপজেলার আওয়ামীলীগের র্শীষ পর্যায়ে নেতৃবৃন্দরা সকলেই জুতা পায়ে উঠে ওই স্টেজে নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন।

দুমকী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ বলেন, শহীদ মিনার নিশ্চই শ্রদ্ধা নিবেদনের জায়গা। নির্বাচনী প্রচারনা স্কুল মাঠে‘ই ছিল। বৃষ্টির কারনে ওখানে উঠেছি, আসলে ওঠা শহীদ মিনারের পাদদেশে, বেদী নয়।

জুতা পড়ে শহীদ মিনার বেদীতে ওঠা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রতীকের প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম তুহিন বলেন-শহীদ মিনার তো পর্দা দিয়ে ঢাকা ছিল, শহীদ মিনারের বিষয়টি জানা ছিলনা।

অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া উপপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান আকন সেলিম বলেন-শহীদ মিনার পিছনে ছিল,আমরা সামনে ছিলাম। জুতা পায়ে ওঠা যাবেনা কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি নিরব থাকেন।

এ প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী আলমগীর হোসেন বলেন, শহীদ মিনার বেদীতে কে উঠছে, এটা বিষয়না। শহীদ মিনারের বেদীতে অনুষ্ঠান করতে হবে কেনো? তাও আবার নির্বাচনী প্রচারনা। গোটা বাঙালীর আবেগ এবং শহীদদের গৌরবোজ্জল স্তম্ভকে যারা র্নিবিঘ্নে পদদলিত করে, জুতা পায়ে ওঠে, তারা স্বাধীনতার স্বপক্ষের লোক কিভাবে হয়?।