আবদুর রহমান ও শফিকুল ইসলাম, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সংসদ বাতিল এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভোট বর্জন করা বিএনপি। ফলে বিএনপির সরকার পতনের একদফা আন্দোলনের মধ্যেই ৭ জানুয়ারি নির্বাচন সম্পন্ন করে আওয়ামী লীগ। এরপর টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে দলটি।

কিন্তু নির্বাচনের পরে নতুন করে আর বড় কোনো আন্দোলন কর্মসূচি নেই বিএনপির। লিফলেট বিতরণ ও দোয়া কামনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে দলটি। এমন পরিস্থিতিতে দলের নীতিনির্ধারণী নেতারা আন্দোলনের কর্মকৌশল নিয়ে ভাবছেন। এছাড়া একের পর এক নির্বাচন ও আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ায় বিএনপি নানামুখী সংকটের সম্মুখীন। সাংগঠনিকভাবে এই সংকট কাটাতে দলটিতে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের পথ অনুসরণ করার দাবি জোরালো হচ্ছে। ক্ষমতাসীনরা যেমন তরুণ ও সাবেক ছাত্রনেতাদের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের জন্য তৈরি করছে, তেমনি বিএনপিতেও সাবেক ছাত্রনেতা, তরুণ ও ত্যাগী নেতৃত্বকে সামনে আনার চাপ বাড়ছে।

এক্ষেত্রে শুধু পদ দিয়েই নয় কার্যকরী ক্ষমতা দিয়েও দলে নেতৃত্ব ঠিক করার আলোচনা শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে তারা রাজনৈতিক মিত্রদের সঙ্গেও কথা বলছেন। তারা আপাতত আগামী তিন মাসে ধীরে চলো নীতির পক্ষে মতামত তুলে ধরেছেন। তাই কঠোর কর্মসূচি থেকে বেরিয়ে আপাতত ‘পরিস্থিতি’ বুঝে সামনে অগ্রসর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড।

জানা যায়, কর্মসূচিগুলোতে জন স্রোতের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সমর্থন গত বছরের ২৮ অক্টোবরের আগে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক চাঙ্গা করেছিল। কিন্তু দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে আন্দোলন সংশ্লিষ্ট কার্যকরী নেতারা আটক হওয়ায় তারা ঝিমিয়ে পড়ে। বাইরে থাকা নেতারা কর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় করে আন্দোলন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে উদাসীন ছিল। অভিযোগ আছে, যোগ্যতা নয় লবিং করে পদ পাওয়া নেতারাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেনি। অনেক নেতা আত্মগোপনের নামে একেবারেই নিরাপদ স্থানে ছিলেন।

সঙ্গত কারণে নির্বাচন ঠেকানোর কোনো আন্দোলনই হয়নি। নিজেরা আন্দোলনের মাঠে না থাকলে পালিয়ে থাকা নেতারা ভার্চুয়ালি বৈঠকগুলোতে নিজেদের দায় এড়াতে অসহযোগ আন্দোলনের মতো একটি হাস্যকর কর্মসূচিতে যেতে হাইকমান্ডকে পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি বাস্তবায়ন করে। নির্বাচনের এক মাসেরও বেশি সময় পার হওয়ার পর আন্দোলনের লড়াকু নেতারা একে একে কারাগার থেকে বের হতে শুরু করেছে।

বের হয়েই এসব নেতারা পদসর্বস্ব নেতাদের বিষয়ে কার্যকর কিছু করার জন্য চাপ দিতে শুরু করেছে। সংকট কাটাতে দাবি উঠেছে, সাবেক ছাত্রনেতা, তরুণ ও ত্যাগী নেতৃত্বকে সামনে আনার। সূত্র মতে, আন্দোলনের দায়িত্বে থাকা নেতারা এখনো ব্যর্থতার দায় অন্যের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে। সম্প্রতি এভারকেয়ার হাসপাতালে উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের মধ্যকার এক আলোচনায় উঠে আসে আন্দোলনে ঢাকা মহানগর বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালামের ভূমিকা নিয়ে । সেখানে নীতি নির্ধারণী ফোরামের এক সদস্য বলেন, সালামের নিস্কিয়তায় আন্দোলনের বারোটা বেজেছে।

বিষয়টি জানাজানি হওয়ার সালাম অনুসারীরা প্রচার করছে আহবায়ক আব্দুস সালাম শুধু কাগজে আহবায়ক। ইচ্ছা করলেই কোনো কমিটি দিতে পারছেন না। একটি বলয়ের কাছে জিম্মি পুরো মহানগর। যে কারণে ঢাকা মহানগরকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করা অনেক কঠিন হচ্ছে। ব্যর্থতা ঢাকতে অনেক বিতর্কিত নেতা ও তাদের অনুসারীরা নানা রকম কৌশল নিচ্ছে।

ফলে নানামুখী সংকটের কারণে এখনই কঠোর কর্মসূচিতে না গিয়ে পরিস্থিতি বুঝে রুটিন কর্মসূচিতে আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় তারা। এর অংশ হিসেবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ এবং একদফা দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে দেশব্যাপী পাঁচ দিনের লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। রাজপথে কর্মসূচির পাশাপাশি ঘুরে দাঁড়াতে বিএনপি এই মুহূর্তে আইনি প্রক্রিয়ায় দলের কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তির বিষয়টিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। একই সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতাও শুরু করেছে। এর অংশ হিসেবে গত সোমবার ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পরবর্তী আন্দোলনে যোগ্যদের সামনে আনতে এরই মধ্যে দলের একাধিক ফোরামে আলোচনা হয়েছে। আন্দোলনে অনন্য ভূমিকার কারণে হাবিবুন নবী খান সোহেল, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, বজলুল কমির চৌধুরী আবেদ, আব্দুল মোনায়েম মুন্না, রুমিন ফারহানা, নিপুণ রায়, তানভীর আহমেদ রবিন, এসএম জাহাঙ্গীরের নাম সর্বত্র আলোচিত হচ্ছে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মুক্ত হওয়ায় এনিয়ে পরবর্তী স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও আলোচনা হতে পারে।

জানা গেছে, ২০২২ সালের আগস্ট থেকে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে রাজপথে সক্রিয় ছিল বিএনপি। বিভাগীয় সমাবেশ, পদযাত্রা, গণমিছিল, হরতাল, অবরোধের পর অসহযোগের ডাক দিয়েও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায়ে সফল হয়নি তারা। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুষ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর এখন নতুন কর্মপরিকল্পনা ঠিক করছে জোটের হাইকমান্ড। বিএনপি এখন সহিংসতার তকমা এড়িয়ে জনসম্পৃক্ত কর্মসূচির মাধ্যমেই সরকারকে চাপে রাখতে চায়।

বিএনপির দাবি, ৭ জানুয়ারির ‘একতরফা’ ও আসন ভাগাভাগির নির্বাচন পশ্চিমাসহ গণতান্ত্রিক বিশ্বের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি। কারণ, বিএনপিবিহীন নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক দেখাতে সরকার যে ডামি-স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়ে ভোট করেছে, বিদেশিরা সে সম্পর্কে অবগত। সে কারণে জাতিসংঘসহ পশ্চিমা গণতান্ত্রিক বিশ্ব বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের বিষয়ে তাদের নৈতিক অবস্থান থেকে মোটেও সরেনি।

নির্বাচনের পরেও বাংলাদেশের গণতন্ত্রহীনতা, ভোটাধিকার ও মানবাধিকার হরণ এবং সুশাসনের অভাবের বিষয়টিতে তারা সুস্পষ্ট বক্তব্য দিচ্ছেন। দলটির নেতারা মনে করছেন, এমন পরিস্থিতিতে রাজপথের আন্দোলনের পাশাপাশি গণতন্ত্রের প্রশ্নে গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ইস্যুতে পশ্চিমা গণতান্ত্রিক বিশ্বের চাপ জোরালো হলে সরকার নমনীয় হতে পারে। সেক্ষেত্রে দাবি আদায় সহজতর হবে।

এ বিষয় জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ গণতান্ত্রিক বিশ্ব এমনকি জাতিসংঘও অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে চেয়েছে যে, বাংলাদেশ সঠিক পথে ফিরে আসুক, ভোটের অধিকারসহ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হোক। তারা এখনো সেটাই চাচ্ছে। সে কারণে বাংলাদেশে যে গণতন্ত্রহীনতা, মানবাধিকার হরণ, সুশাসনের অভাব, দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থসম্পদ পাচার এসব বিষয়ে ভোটের পরেও তারা স্পষ্ট ভাষায় বক্তব্য দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের বড় পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র কয়েকদিন আগেও তাদের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে। গণতন্ত্র, মানবাধিকার, মানুষের কথা বলার অধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, মানুষের ভোটের অধিকার প্রশ্নে তাদের যে প্রতিশ্রুতি, সেটা তারা ফের বলেছে। কাজেই বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের বিষয়ে তাদের যে নৈতিক অবস্থান, সেখান থেকে তারা কথায় বা কাজে কোথাও একচুলও বিচ্যুত হয়নি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ইস্যুতে ভোটের আগে বাংলাদেশের ওপর ভিসা নীতি কার্যকর করে। একই সঙ্গে অবাধ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রশ্নে তাগাদা অব্যাহত রাখে। এ ইস্যুতে তখন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতও বেশ তৎপর ছিলেন। বিএনপির বর্জন ও আন্দোলনের মধ্যেই গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।

এমন পরিস্থিতিতে ভোটের পর অনেকে মনে করেছিলেন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র কঠোরভাবে ভিসা নীতির প্রয়োগ এবং ধাপে ধাপে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে। কিন্তু তেমন কিছুই হয়নি, বরং ভোটের পর তারা অনেকটাই নমনীয় বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এমন অবস্থায় নির্বাচনের এক মাস পর গত সোমবার ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান।

পরে মার্কিন দূতাবাস এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) পিটার হাস ও মঈন খানের ছবি প্রকাশ করে বৈঠকের বিষয়টি জানায়। এক্স হ্যান্ডলে মার্কিন দূতাবাস লিখে, ‘ঢাকা দূতাবাস গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা, সহনশীলতা, সুশাসন ও মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটে যখন সব কণ্ঠের আওয়াজ শোনা যায়। বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তারা আনন্দিত।’

বিএনপি নেতা মঈন খানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পিটার হাসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে। এ সময় গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। তবে বিএনপি সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে কারাগারে গত কয়েক মাসে বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীর মৃত্যুর ঘটনা, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন যে একতরফা ছিল এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ ভোট বর্জন করায় ওই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গঠিত সংসদ যে জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল নয়, ভাগবাটোয়ারার সংসদ বিএনপির পক্ষ থেকে সে বিষয়টিও তুলে ধরা হয়।

এ ছাড়া বিএনপি যে বর্তমান সংসদ বাতিল এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবিতে অনড় থেকে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তুলে ধরা হয় সে বিষয়টিও। সংশ্লিষ্ট বলছেন, পিটার হাসের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে নির্বাচনের পর আন্দোলনের পাশাপাশি ফের কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে বিএনপি। এর মধ্যে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির প্রধান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী গতকাল জামিনে কারামুক্ত হওয়ায় এ তৎপরতা এবার আরও বেগবান হবে। এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ইস্যুতে নিয়মিত যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি মুশফিকুল ফজল আনসারী।

স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে দেশটির মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের কাছে নির্বাচন-সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন করেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে নির্বাচন ও বাংলাদেশ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান ব্যক্ত করছে। এ ছাড়া বিএনপির পক্ষ থেকে শিগগির যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দেশে বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যুতে কাজ করা দলের নেতাদেরও ফের সক্রিয় করার উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

বিএনপির সংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, আন্দোলনের বিকল্প কোনো পথ নেই। দেশে ফ্যাসিবাদী তন্ত্র কায়েম হয়েছে। জনগণ নিয়ে আমরা যেই আন্দোলন করেছি তাতে আমরা সফল হয়েছি। এক তন্ত্রের কাছে তো আমরা মাথানত করতে পারি না। সরকারের অত্যাচারে এখনো তৃণমূলের অনেক নেতাকর্মী তাদের বাড়িতে যেতে পারছে না।

বিএনপি কৌশল হিসেবে ধীরগতির আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে, সময় হলে সমাবেশ, বিক্ষোভ, হরতাল ও অবরোধের মতো কর্মসূচি দেখতে পাবেন। এখানে হতাশ হওয়ার কিছু নেই, হতাশ হয়েছে সরকার। এ জন্যই এমপি-মন্ত্রীরা হতাশার বক্তব্য দিচ্ছে। সরকার একতরফাভাবে নির্বাচন করে ক্ষমতায় বসেছে এর বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলবে।