অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে জরুরি সাক্ষাৎ শেষে পদত্যাগ করছেন কী রাশেদ মাকসুদ!

দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ক্রমেই নাজুক হচ্ছে পুঁজিবাজার পরিস্থিতি। দিন যতই যাচ্ছে পতনের আকারও ততই বড় হচ্ছে। ফলে ভয়াবহ দরপতনের মধ্যে পড়েছে দেশের পুঁজিবাজার। ক্রেতা সংকটে প্রতিদিনই পুঁজিবাজারে দরপতন হচ্ছে। ফলে পুঁজি নিয়ে অজানা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।
এদিকে পুঁজিবাজারে টানা দরপতন হলেও নিয়ন্ত্রক সংস্থার ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিনিয়োগকারীরা। তাছাড়া পুঁজিবাজারে এই দরপতনের শেষ কোথায় এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। তবে একের পর এক মিটিং করেও বাজারের জন্য কোন ইতিবাচক ফলাফল আনতে পারেনি রাশেদ মাকসুদ কমিশন।
ফলে রাশেদ মাকসুদ কমিশনের প্রতি দিন দিন বিনিয়োগকারীদের অনাস্থা তৈরি হয়েছে। এদিকে পুঁজিবাজারে টানা দরপতনের প্রতিবাদে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে মতিঝিলে বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের অপসারণের দাবিতে কফিন মিছিল করেছেন বিনিয়োগকারীরা। এ অবস্থায় সোমবার রাশেদ মাকসুদ অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সঙ্গে দেখা করবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চাইলে তাকে ১০ মিনিটের সময় দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী, সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে বিএসইসি চেয়ারম্যান অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করবেন। এসময় বিএসইসি চেয়ারম্যান পদত্যাগপত্র অর্থ উপদেষ্টার কাছে জমা দিতে পারেন। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে এ পদে তার আর থাকা সম্ভব হচ্ছে না বলে তিনি পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করতে পারেন বলে সূত্র জানিয়েছে।
গত বছরের ১৮ আগস্ট খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে বিএসইসি চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয় সরকার। এরপর থেকে তিনি কঠোরহস্তে অসৎ কর্মকর্তাদের অপসারণ করেন। চলতি বছরই তিনি বিএসইসির ১৬ কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেন। এসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তাদের অনেকে বিএসইসি সাবেক চেয়ারম্যান বর্তমানে দুর্নীতির অভিযোগে কারাগারে থাকা শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের ঘনিষ্ঠ ছিলেন।