অর্থনীতির উন্নতির সঙ্গে পুঁজিবাজার এগিয়ে যাবে
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বাংলাদেশ বিশ্বের সম্ভাবনাময় অর্থনীতিগুলোর একটি। সামনে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। সরকার অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করছে। সরকার অনেকগুলো বড় অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। অর্থনীতি ভালো করলে পুঁজিবাজারেও তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। আমাদের দেশের অর্থনীতির ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। এর প্রভাব পুঁজিবাজারে তেমন পড়েনি। তবে এই প্রভাব পড়ার সময় এসেছে। অর্থনীতির উন্নতির সঙ্গে এগিয়ে যাবে পুঁজিবাজার।
শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজের ৬ষ্ঠ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শিল্পপতি আনোয়ার হোসেন খান এসব কথা বলেন।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসাইন এতে সভাপতিত্ব করেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজের পরিচালক শাজাহান সিরাজসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আনোয়ার হোসেন খান বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানটি যখন শুরু করে, তখন বাজারের পরিবেশ তেমন ভালো ছিল না। ওই সময়ের পরিবর্তন হয়েছে। একইসঙ্গে উন্নতি হয়েছে সার্বিক অর্থনীতির পরিবেশ। এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। ভালো করেছে আমাদের হাউজ।
তিনি বলেন, এই ভালোর অংশীদার আপনারা। এই প্রতিষ্ঠানটি ভালো করা মানে ব্যাংক ভালো করা। কারণ এই প্রতিষ্ঠানের মুনাফা লভ্যাংশ আকারেই আপনারা অর্থাৎ শেয়ারহোল্ডাররা পেতে পারেন।
দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, এমন অবস্থায় পুঁজিবাজারকে পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই। সামনে বিনিয়োগকারীদের জন্য সুদিন আসছে।
তিনি বলেন, একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি পুঁজিবাজার। এখান থেকে মূলধন নিয়ে কোম্পানিগুলো ব্যবসা সম্প্রসারণ করে। কোম্পানি সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশে নতুন নুতন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। একইসঙ্গে পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারে কোম্পানিগুলো। এসব কারণেই স্থিতিশীল পুঁজিবাজার সবার কাম্য।
সভায় শাজাহান সিরাজ বলেন, পুঁজিবাজারের জন্য সবচেয়ে খুশির খবর হলো সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমছে। এই প্রভাব অবশ্যই পুঁজিবাজারে পড়বে।
তিনি বলেন, সরকার বড় বড় প্রকল্পে নিয়ে কাজ করছে। এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য পুঁজিবাজারকে কাজে লাগানো যেতে পারে। প্রকল্পগুলো পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। সব মিলিয়ে পুঁজিবাজারের একটি সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসাইন বলেন, ব্যবসা শুরুর আগেই আইনি বিষয়গুলো পরিপালন করে যাচ্ছে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজ। এভাবে ব্যবসা করে ডিএসইর শীর্ষ ব্রোকারদের মধ্যে ১৪তম অবস্থানে উঠে এসেছি আমরা। আর ব্যাংক ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের সহযোগী হিসাবে আমরা ৬ষ্ঠ।
তিনি বলেন, আমরা বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা মাথায় নিয়ে কাজ করি। এখানে নারী বিনিয়োগকারীদের জন্য রয়েছে আলাদা লেনদেন ব্যবস্থা। এখানে ই-মেইলের মাধ্যমে পোর্টফোলিও এবং লেনদেন নিশ্চিত করা হয়।