দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: আলোচিত ২০০ কোটি রুপি আর্থিক প্রতারণার মামলার আসামি সুকেশ চন্দ্রশেখর ও বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের মধ্যে সম্পর্কের কথা শোনা গেছে। তখন প্রেমের কথা স্বীকারও করেন সুকেশ নিজেই। তবে সুকেশ চন্দ্রশেখরের ২০০ কোটি রুপি অর্থ পাচার ও চাঁদাবাজি মামলায় অভিযুক্ত বলিউড জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি তা জানতে চেয়েছেন আদালত।

বিষয়টি নিয়ে আদালতে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি)। জ্যাকুলিন সহজেই দেশ থেকে পালাতে পারেন, কারণ তার অর্থের অভাব নেই বলেও আদালত জানিয়েছেন। আদালত ইডির কাছে আরও জানতে চান, এলওসি জারি করেও আপনারা জ্যাকুলিনকে এখনো গ্রেপ্তার করেননি কেন? অন্য আসামিরা কারাগারে। কেন বাছাই নীতি গ্রহণ করলেন?

তাই আদালত শুক্রবার (১১ নভেম্বর) জ্যাকুলিন জামিন আবেদনের বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারে। এর আগে আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে পান জ্যাকুলিন। ২০০ কোটি টাকার প্রতারণা এবং আরও ২০টি আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় নাম জড়ানো চন্দ্রশেখর দিল্লির রোহিণী জেলে বন্দি।

এর আগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জ্যাকুলিনের মতো ডাক পাঠানো হয়েছিল নোরা ফাতেহিকে। এরইমধ্যে জানা গেছে, বিলাসবহুল গাড়ি থেকে দামি হিরের গহনা কিংবা ব্যাগ উপহার দেওয়া হয়েছে তাকে। এছাড়াও এই মামলায় আরও অনেকেই জড়িত আছেন।

শনিবার (২৮ মে) দিল্লির একটি আদালত শর্ত সাপেক্ষে বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি দিয়েছেন এই অভিনেত্রীকে। প্রসঙ্গত, এর আগে আদালত জ্যাকুলিনের আবেদন মঞ্জুর করে কয়েকটি শর্ত দেন।

বিদেশ ভ্রমণের আগে জ্যাকুলিনকে ৫০ লাখ রুপি জমা রাখতে বলেছেন আদালত। দেশে ফেরার গ্যারান্টি হিসেবে এই অর্থ জমা দিতে হবে তাকে। শর্ত আরোপের বিষয়ে আদালত বলেন ‘আবেদনকারীকে অঙ্গীকারনামাসহ ৫০ লাখ রুপির এফডিআর জমা দিতে হবে।

যদি আবেদনকারী দেশে না ফেরেন, তাহলে এই অর্থ ফেরত দেওয়া হবে না। তা ছাড়া আবেদনকারীকে ভ্রমণের সমস্ত কাগজপত্র ও ফোন নম্বর জমা দিতে হবে। দেশে ফেরার পর তদন্তকারী সংস্থাকে বিষয়টি জানাতে হবে।’